আপনি কি স্মার্টফোন খুব বেশি ব্যবহার করেন? অ্যাপল-গুগলের মতো ফোন নির্মাতারা কিন্তু আপনার কম ফোন ব্যবহারের পক্ষে। এর অবশ্য কারণ আছে। অন্যতম কারণ আসক্তি। মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে গেলে এর ব্যবহার কমিয়ে দেবে বা বিকল্প ভাবা শুরু করবে। তাই অ্যাপল-গুগল চায় স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে থাকুক।
সম্প্রতি অ্যাপল ও গুগলের পক্ষ থেকে স্মার্টফোনসহ তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার কম রাখার কয়েকটি ফিচার উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সাধারণত চায়, তাদের পণ্য বেশি বিক্রি হোক এবং মানুষের মাথায় শুধু তাদের পণ্যের কথা ঢুকে থাক। এর বিপরীত দিকটাও ভাবছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।
সম্প্রতি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম মিডিয়ামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবহারকারীদের আসক্তিতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হবে—এটাই ধারণা করা হয়। যত বেশি ফোন ব্যবহার করা হবে, ততই তাদের লাভ। সেখানে থাকা অ্যাপ ও বিজ্ঞাপন থেকে আয় বাড়বে। তবে দীর্ঘমেয়াদি লাভের বেলায় তা আশাব্যঞ্জক নয়। তাই নিজের স্বার্থেই অ্যাপল ও গুগলকে মানুষকে ফোনের আসক্তি কমাতে হচ্ছে।
অ্যাপল ও গুগলের কাছে আসক্তি ক্ষতিকর আচরণ; বরং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে উঠলে তাদের লাভ বেশি।
উদাহরণ হিসেবে গাড়ির সিটবেল্ট বাঁধার কথাটি ধরা যেতে পারে। ১৯৬৮ সালে ফেডারেল সরকার গাড়িতে সিটবেল্ট বাধ্যতামূলক করে। এ আইন করার ১৯ বছর আগে থেকেই মার্কিন গাড়ি নির্মাতারা গাড়ির সঙ্গে বেল্ট ফিচার হিসেবে দিতে শুরু করেছিল। আইন করায় এবং ব্যবহারকারীদের চাহিদার কারণে গাড়ি নির্মাতাদের জন্য এটি সুখবর বয়ে আনল। গাড়ি নির্মাতাদের বিক্রি বেড়ে গেল।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও ওই গাড়ি ও সিটবেল্টের উদাহরণটি খাটে। থার্ড পার্টির নানা অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা প্রযুক্তি ব্যবহার পর্যবেক্ষণ ও অনলাইনে সময় কাটানোর বিষয়টি নজরদারি করতে পারেন।
নির্দিষ্ট সাইটে যাওয়া বন্ধ করা, কত সময় অনলাইনে কাটানো হচ্ছে, তা দেখতে পারায় ডিজিটাল অস্থিরতা কমছে। এ ধরনের টুল অ্যাপল ও গুগল ঘোষণা করেছে। এতে স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এটাই চাইছে স্মার্টফোনের নির্মাতারা।
0 Comments