এম এস হাবিবুর রহমান:: চাকুরী এক সোনার হরিণ। কিছুতেই জেনো ধরা দিতে চায় না। বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে চাকুরী পাওয়া আসলেই কষ্টকর। বিশেষ করে যারা নতুন, তাদের জন্য ইন্টার্ভিউটাও নতুন। সব মিলিয়ে নার্ভাসনেসের কারনে জানা জিনিস ও ভুল বা অসমাপ্ত উত্তর দিয়ে আসেন অনেকে। প্রতিটা ইন্টার্ভিউতেই কিছু কমোন প্রশ্ন করা হয়। এগুলোর উত্তর আগেভাগে প্যাকটিস করে নিলে ইন্টারভিউটা অনেক সহজ হয়। এমনই কিছু বিষয় নিয়ে আমি এম এস হাবিবুর রহমান আজকের টপিকে লিখব আশা
করি আপনারা উপকৃত হবেন। আর এগুলো বাসায় প্রাকটিস করবেন এই প্রত্যাশায় মূল বিষয় ধারাবাহিক ভাবে
আলোচনা শুরু কললাম।
১) আপনার সম্পর্কে কিছু বলুন??
এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি নিচের পয়েন্ট গুলো নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন সংক্ষেপে।
·
নাম:
·
কোথায় থাকেন:
·
আপনার পড়া লিখা:
·
যদি কোনো পূর্বব্রতী কাজের অভিজ্ঞতা থাকে:
·
ফ্যামেলি হাইলাইট:
·
চাকুরী পেলে আপনি কিভাবে ভ্যালু এড করবেন:
আমরা নাম মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ (ছদ্মনাম)। আমি ফাইনান্স ম্যাজোর নিয়ে বিবিএ এবং এম্ বি এ করেছি ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি এখন একটা এড ফার্মে এসিস্টেন্ট ফাইন্যান্স ম্যানেজার হিসাবে কাজ করছি। গত দুই বছর আমি আমার কম্পানিতে একাউন্টস এবং ফাইনেন্সের অনেক কাজ শিখেছি। আশা করি আমার এই অভিজ্ঞতা এই অফিসে অনেক ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারবো। আমি মিরপুর ১ নাম্বারে আমার বাবা মার্ সাথে থাকি।
এখানে উল্লেখ্য যে , যেহেতু আপনাকে এই একই প্রশ্ন উত্তর অনেক জায়গাতে করতে হবে তাই আপনি আপনার মতো স্ক্রিপ্ট লিখে অসংখ্যাবার প্যাকটিস করুন জেনো কথা বলার সময় আপনার কোনো জড়তা না থাকে এবং আপনি সাবলীল ভাবে নিজের সম্পর্কে কথা গুলো বলতে পারেন। নিজের সম্পর্কে কনফিডেন্টলি কথা না বলতে পারলে প্রশ্ন কর্তা প্রথমেই আপনার উপর নেতি বাচক মনোভাব নিয়ে আসবেন এবং আপনার পরবর্তী উত্তরগুলো খারাপ হবে।
২) কেন আমাদের কোম্পানিতে আপনি কাজ করতে চান??
এখানে আপনাকে নিচের পয়েন্ট দুটি মাথায় রাখতে হবে..
(I) আপনি এই কোম্পানির কি পছন্দ করেন??
(II) লংটার্মে এই কোম্পানিতে কাজ করলে আপনার কি উপকার হবে?
(II) লংটার্মে এই কোম্পানিতে কাজ করলে আপনার কি উপকার হবে?
মনে করি আপনি একটা এড ফার্মে ( সমাহার ডট নেট ) চাকুরীর ইন্টারভিউ দিচ্ছেন । আপনি বলতে পারেন : স্যার, এইটা অনেক রিপোর্টেড কোম্পানি , এই কর্পোরেট ফ্যামিলিতে জয়েন করতে পারলে আমি অনেক গর্ব বোধ করবো তাছাড়া ওয়েবসাইট থেকে জট টুকু জেনেছি , এই ফার্মে এড সার্ভিসে ডিজিটাল মিডিয়ার সবচেয়ে আধুনিক টুলস গুলো ইউজ করা হয়। আপনাদের অনেক বিদেশী ক্লায়েন্ট ও আছে যাদের আপনারা নিয়মিত সার্ভিস দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে ফরেন ট্রানজেকশনের বিষয় জড়িত। আমি এর আগে ফরেন কারেন্সি নিয়ে কাজ করেছি এবং ডিজিটাল মিডিয়া প্লাট ফর্মে কাজ করার ইচ্ছা আছে আমার। তাই আমি মনে করি এই কম্পানিতে আমি যথেষ্ট ভ্যালু এড করতে পারবো এবং নতুন কিছু শিখতেও পারবো। এই রিপোর্টেড কম্পানিতে কাজ করলে সেটা আমার রিজুম শোকেজে যথেষ্ট উপকারে আসবে।
৩) আপনার সম্পর্কে ভালো দিক গুলো বলুন??
এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি নিচের কি পয়েন্টগুলোর দিকে ফোকাস করেত পারেন। তবে ২/৩ টার বেশি পয়েন্ট না আনাটা আপনার জন্য ভালো। আপনি আপনার স্কিলের সাথে মিলিয়ে কি কি পয়েন্টে কথা বলবেন তা আগে থেকে ঠিক করতে পারেন।
• এডাপ্টিবিলিটি : আমি খুব কম সময়ে নতুন পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি
• টিমওয়ার্ক: আমি টিমের সাথে খুব ভালো কাজ করতে পারি এবং টিম ওয়ার্ক আমার খুব পছন্দের
• হার্ডওয়ার্কিঙ : আমি হার্ডওয়ার্কার এবং আমি মনে করি আমার এই গুন্ অফিসে ভালো ভ্যালু এড করবে। আমি যেই কাজে এসাইন্ড হই তা নিজের মতো মনে করে সেটা সফল ভাবে শেষ করার চেষ্টা করি।
• প্রোএক্টিভ : আমি এসাইন্ড কাজের বাইরেও কাজ খোঁজার চেষ্টা করি এবং নতুন জিনিস শেখার চেষ্টা করি।
• ফ্লেক্সিবিলিটি : আমি যেহেতু কাজ করতে পছন্দ করি, তাই অফিস টাইমের বাইরেও কাজ করার জন্য আমি সবসময় প্রস্তুত।
• অপ্টিমিস্টিক : আমি মনে করি আমি যথেষ্ট পজিটিভ তাই যেকোনো কাজে সেই রিফ্লেকশনটা থাকে
• ফাস্ট ডিসিশন মেকিং: আমি খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারি এবং প্রয়জনে আমার লাইন ম্যানেজারের পরামর্শ নেই
• সেলফ মোটিভেশন : আমি সেলফ মোটিভেটেট তাই আমার কাজ গুলো অনেক পারফেক্ট রেজাল্ট নিয়ে আসে।
• এডাপ্টিবিলিটি : আমি খুব কম সময়ে নতুন পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি
• টিমওয়ার্ক: আমি টিমের সাথে খুব ভালো কাজ করতে পারি এবং টিম ওয়ার্ক আমার খুব পছন্দের
• হার্ডওয়ার্কিঙ : আমি হার্ডওয়ার্কার এবং আমি মনে করি আমার এই গুন্ অফিসে ভালো ভ্যালু এড করবে। আমি যেই কাজে এসাইন্ড হই তা নিজের মতো মনে করে সেটা সফল ভাবে শেষ করার চেষ্টা করি।
• প্রোএক্টিভ : আমি এসাইন্ড কাজের বাইরেও কাজ খোঁজার চেষ্টা করি এবং নতুন জিনিস শেখার চেষ্টা করি।
• ফ্লেক্সিবিলিটি : আমি যেহেতু কাজ করতে পছন্দ করি, তাই অফিস টাইমের বাইরেও কাজ করার জন্য আমি সবসময় প্রস্তুত।
• অপ্টিমিস্টিক : আমি মনে করি আমি যথেষ্ট পজিটিভ তাই যেকোনো কাজে সেই রিফ্লেকশনটা থাকে
• ফাস্ট ডিসিশন মেকিং: আমি খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারি এবং প্রয়জনে আমার লাইন ম্যানেজারের পরামর্শ নেই
• সেলফ মোটিভেশন : আমি সেলফ মোটিভেটেট তাই আমার কাজ গুলো অনেক পারফেক্ট রেজাল্ট নিয়ে আসে।
আপনাকে আপনার স্কিলের সাথে মিলিয়ে উপরের পয়েন্টগুলো খুব সংক্ষেপে বলতে হবে। তবে এমন ভাবে বলবেন , জেনো মনে না হয় আপনি মুখস্ত বলছেন।
উদাহরণ :
আমি নিজেকে খুব দ্রুত নতুন পরিবেশের সাথে এবং নতুন মানুষের সাথে মানিয়ে নিতে পারি। আমি হার্ডওয়ার্ক করতে পারি এবং দ্রুত শিখতে পারি। কাজ আমার কাছে সবচেয়ে প্রধান কারন আমি জানি ভালো কাজ করতে পারলেই আমি দ্রুত উন্নতি করতে পারবো।
আমি নিজেকে খুব দ্রুত নতুন পরিবেশের সাথে এবং নতুন মানুষের সাথে মানিয়ে নিতে পারি। আমি হার্ডওয়ার্ক করতে পারি এবং দ্রুত শিখতে পারি। কাজ আমার কাছে সবচেয়ে প্রধান কারন আমি জানি ভালো কাজ করতে পারলেই আমি দ্রুত উন্নতি করতে পারবো।
৪) আপনার উইকনেস বা দুর্বলতা কি?
(১) স্ট্রেট ফরোয়ার্ড : আমি খুব স্ট্রেট ফরোয়ার্ড তাই অফিস ডেকোরাম হিসাবে আমার কাজের জন্য যেসব ক্লিয়ারিফিকেশন আমার দরকার তা আমি সরাসরি জিগেস করবো যেটা অফিসের জন্য প্রজোয্য না তা আমি সরাসরি মানা করে দিবো। এটা অনেকে পছন্দ নাও করতে পারেন।
(২) কাজ পাগল : আমি সব সময় কাজে থাকতে পছন্দ করি। তাই অফিসের অলস সময়ে আমি কিছুটা অস্থিরতা অনুভব করি।
(৩) টকেটিভ: আমি যেহেতু সোশ্যাল পার্সন এবং চাকুরীর খাতিরে অনেকের সাথে কথা বলতে হয় তাই আমি হয়তো একটু বেশি কথা বলি।
(৪) কেউ সাহাজ্য চাইলে আমি সহজে না বলতে পারি না
(২) কাজ পাগল : আমি সব সময় কাজে থাকতে পছন্দ করি। তাই অফিসের অলস সময়ে আমি কিছুটা অস্থিরতা অনুভব করি।
(৩) টকেটিভ: আমি যেহেতু সোশ্যাল পার্সন এবং চাকুরীর খাতিরে অনেকের সাথে কথা বলতে হয় তাই আমি হয়তো একটু বেশি কথা বলি।
(৪) কেউ সাহাজ্য চাইলে আমি সহজে না বলতে পারি না
উদাহরণ :
আমি খুব স্ট্রেট ফরোয়ার্ড তাই অফিস ডেকোরাম হিসাবে আমার কাজের জন্য যেসব ক্লিয়ারিফিকেশন আমার দরকার তা আমি সরাসরি জিজ্ঞেস করবো, যেটা অফিসের জন্য প্রজোয্য না তা আমি সরাসরি মানা করে দিবো। এটা অনেকে পছন্দ নাও করতে পারেন। তাছাড়া আমি সব সময় কাজে থাকতে পছন্দ করি। তাই অফিসের অলস সময়ে আমি কিছুটা অস্থিরতা অনুভব করি ।
আমি খুব স্ট্রেট ফরোয়ার্ড তাই অফিস ডেকোরাম হিসাবে আমার কাজের জন্য যেসব ক্লিয়ারিফিকেশন আমার দরকার তা আমি সরাসরি জিজ্ঞেস করবো, যেটা অফিসের জন্য প্রজোয্য না তা আমি সরাসরি মানা করে দিবো। এটা অনেকে পছন্দ নাও করতে পারেন। তাছাড়া আমি সব সময় কাজে থাকতে পছন্দ করি। তাই অফিসের অলস সময়ে আমি কিছুটা অস্থিরতা অনুভব করি ।
৫) কেন আমি আপনাকে চাকুরী দিবো??
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে আপনাকে আপনার নিজের মার্কেটিং করতে হবে। কোম্পানির যেইসব কাজের সাথে আপনার স্কিল ম্যাচ করে , সেগুলো হাইলাইট করতে হবে।
এখানে আমি দুইটা উদাহরণ দিবো। একটা ফ্রেশার এপ্লিকেন্টের জন্য অন্যটা এক্সপিরিয়েন্স এপ্লিকেন্টের জন্য।
এখানে আমি দুইটা উদাহরণ দিবো। একটা ফ্রেশার এপ্লিকেন্টের জন্য অন্যটা এক্সপিরিয়েন্স এপ্লিকেন্টের জন্য।
উদাহরণ ১: ফ্রেশার এপ্লিকেন্ট
স্যার আমি যদিও প্যাকটিকেল কোনো কাজ করি নাই , কিন্তু আমার একাডেমিক পড়া লিখা গুলো গুলো আমি খুব ভালো ভাবে বোঝার চেষ্টা করেছি। তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজ করাটা আমার জন্য একটা পেশেন্স , তাই আমি ইন্টারভিউর আগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কোর্সেরা থেকে ৬ মাসের অনলাইন প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন নিয়েছি। আমাকে কোনো কাজ দেওয়া হোলে আমি তা সঠিক ভাবে সম্পন্ন করে দিব বলে আমি বিশ্বাসী।
স্যার আমি যদিও প্যাকটিকেল কোনো কাজ করি নাই , কিন্তু আমার একাডেমিক পড়া লিখা গুলো গুলো আমি খুব ভালো ভাবে বোঝার চেষ্টা করেছি। তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজ করাটা আমার জন্য একটা পেশেন্স , তাই আমি ইন্টারভিউর আগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কোর্সেরা থেকে ৬ মাসের অনলাইন প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন নিয়েছি। আমাকে কোনো কাজ দেওয়া হোলে আমি তা সঠিক ভাবে সম্পন্ন করে দিব বলে আমি বিশ্বাসী।
উদাহরণ ২: এক্সপিরিএন্সড এপ্লিক্যান্ট
আমি ফাইনান্স কাজ করছি গত দুই বছর ধরে। ডিজিটাল মিডিয়ার জন্য যেসব KPI মিট করা দরকার , সেই সম্পর্কে আমার খুব ভালো ভাবে নলেজ আছে। তাছাড়া গত দুই বছরে বেশ কিছু ক্লায়েন্টের সাথে আমার পার্সোনাল রিলেশন তৌরি হয়েছে। এই রিলেশন কাজে লাগিয়ে আমি কোম্পানির জন্য অনেক ভ্যালু এড করতে পারবো। আশা করি আমাকে এই কাজের দায়িত্ব দিলে আমি কখনোই আপনাকে ডিসেপয়েন্টেড করবো না ।
আমি ফাইনান্স কাজ করছি গত দুই বছর ধরে। ডিজিটাল মিডিয়ার জন্য যেসব KPI মিট করা দরকার , সেই সম্পর্কে আমার খুব ভালো ভাবে নলেজ আছে। তাছাড়া গত দুই বছরে বেশ কিছু ক্লায়েন্টের সাথে আমার পার্সোনাল রিলেশন তৌরি হয়েছে। এই রিলেশন কাজে লাগিয়ে আমি কোম্পানির জন্য অনেক ভ্যালু এড করতে পারবো। আশা করি আমাকে এই কাজের দায়িত্ব দিলে আমি কখনোই আপনাকে ডিসেপয়েন্টেড করবো না ।
৬) আমাদের কোম্পানি সম্পর্কে আপনি কি কি জানেন?
এজন্য আপনাকে ইন্টারভিউর আগে কোম্পানি এবং এর প্রডাক্ট এবং সার্ভিস সম্পর্কে ভালো একটা আইডিয়া নিয়ে রাখতে হবে। এছাড়া এম্পানির মালিক, পার্টনার এবং প্রতিযোগী সম্পর্কে আপনার ভালো আইডিয়া থাকতে হবে।। এখন কার দিনে এটা খুব সহজ। কারন সব কোম্পানির ওয়েবসাইট বা অন্তত একটা ফেইসবুক পেইজ থাকে। সেখান থেকেও যদি আপনি পর্যাপ্ত ইনফরমেশন না পান তাহলে ওই কোম্পানিতে চাকুরী করে এমন কাউকে খুঁজে বের করুন। কথা বলুন। মনে রাখবেন আপনার মতো অনেকেই এই পোস্টে চাকুরীর জন্য ইন্টারভিউ দিচ্ছে। অন্যদের চাইতে নিজে কে আলাদা প্রমান করতে না পারলে কেন তারা আপনাকে চাকুরী দিবে। তাই আপনাকে অবশ্য অবশ্য ই কষ্ট করতে হবে।
উদাহরণ:
এটা বাংলাদেশের অন্যতম গ্রোইং ডিজিটাল মার্কেটিং ফার্ম। হেড অফিস গুলশানে এছাড়া সারা বাংলাদেশে ৪০ টা জেলায় এর শাখা আছে। তাছাড়া ইউরোপ এবং নর্থ আমেরিকায় দুইটা ফরেন ব্রাঞ্চ আছে। জব ইনভায়রমেন্ট অনেক ভালো। এখানে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের স্কিল ডেভলাপার জন্য প্রফেশনাল ট্রেনিং দেওয়া হয়। তাই আমার মনে হয় এই অফিসটা আমার ক্যারিয়া শোকেসিং এর জন্য খুব ভাল একটা ব্রেক দিবে। এবং এখানে কাজ করার সুযোগ পেলে আমি গর্ব বোধ করবো।
এটা বাংলাদেশের অন্যতম গ্রোইং ডিজিটাল মার্কেটিং ফার্ম। হেড অফিস গুলশানে এছাড়া সারা বাংলাদেশে ৪০ টা জেলায় এর শাখা আছে। তাছাড়া ইউরোপ এবং নর্থ আমেরিকায় দুইটা ফরেন ব্রাঞ্চ আছে। জব ইনভায়রমেন্ট অনেক ভালো। এখানে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের স্কিল ডেভলাপার জন্য প্রফেশনাল ট্রেনিং দেওয়া হয়। তাই আমার মনে হয় এই অফিসটা আমার ক্যারিয়া শোকেসিং এর জন্য খুব ভাল একটা ব্রেক দিবে। এবং এখানে কাজ করার সুযোগ পেলে আমি গর্ব বোধ করবো।
৭) আপনি আগের চাকুরীটা ছেড়ে দিতে চাইছেন কেনো ?
ইন্টরভিউয়ার আপনার কাছে জানতে চাইবেন, কেন আপনি আগের চাকুরীটা বদল করতে চাইছেন? উত্তর জানাটা উনাদের জন্য খুব জরুরি কারন আপনাকে হায়ার করার পরে আপনি যদি এই জবটাও চেইঞ্জ করতে চান , তাহলে উনাদের আবার ইন্টরভিউ কল করতে হবে। নিয়মিত কাজে ব্যাঘাত ঘটবে।
(১) কখনোই আগের কোম্পানি সম্পর্কে খারাপ কথা বলবেন না। বরং ওই কোম্পানিকে ধন্যবাদ দিবেন এবং আপনি ওই কোম্পানিতে থাকা কালীন কি শিখেছেন তা বলবেন।
(২) এর পরে চাকুরী পরিবর্তনের কথা বলবেন
(৩) নতুন চাকুরীটা আপনার ক্যারিয়ার গোলের জন্য কতটা কানেক্টেড , সেটা বলবেন
(২) এর পরে চাকুরী পরিবর্তনের কথা বলবেন
(৩) নতুন চাকুরীটা আপনার ক্যারিয়ার গোলের জন্য কতটা কানেক্টেড , সেটা বলবেন
উদাহরণ :
আমি মাছরাঙ্গা এড ফার্মে লাস্ট দুই বছর কাজ করেছি। আগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফাইনেনসিয়াল ডিসিশন মেকিং এর কিছুই জানতাম না। আমি আমার লাইন ম্যানেজারের কাছে সব সময় কৃতজ্ঞ। কিন্তু বর্তমানে কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার বদলি হওয়ায় কাজ অনেক কমে গেছে, সাথে সাথে বটম লাইনে নেগেটিভ ইম্পেক্ট এসেছে। তাই আমার কোম্পানি আমার চাহিদা অনুযায়ী বেতন দিতে পারছেন না। তাই আমার ম্যানেজারের সম্মতি ক্রমেই আমি এই ইন্টারভিউ দিচ্ছে এবং ইন্টারভিউর জন্য প্রয়োজনীয় ছুটির ব্যবস্তা করতে যথেষ্ট সাহাজ্য করছেন। আমার সিভিতেও আমার লাইন ম্যানেজারের রেফারেন্স দেওয়া আছে। তাছাড়া এতো বড় কোম্পানিতে কাজের সুজোগ পেলে আপকামিং টেকনোলজি আমি শিখতে পারবো।
আমি মাছরাঙ্গা এড ফার্মে লাস্ট দুই বছর কাজ করেছি। আগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফাইনেনসিয়াল ডিসিশন মেকিং এর কিছুই জানতাম না। আমি আমার লাইন ম্যানেজারের কাছে সব সময় কৃতজ্ঞ। কিন্তু বর্তমানে কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার বদলি হওয়ায় কাজ অনেক কমে গেছে, সাথে সাথে বটম লাইনে নেগেটিভ ইম্পেক্ট এসেছে। তাই আমার কোম্পানি আমার চাহিদা অনুযায়ী বেতন দিতে পারছেন না। তাই আমার ম্যানেজারের সম্মতি ক্রমেই আমি এই ইন্টারভিউ দিচ্ছে এবং ইন্টারভিউর জন্য প্রয়োজনীয় ছুটির ব্যবস্তা করতে যথেষ্ট সাহাজ্য করছেন। আমার সিভিতেও আমার লাইন ম্যানেজারের রেফারেন্স দেওয়া আছে। তাছাড়া এতো বড় কোম্পানিতে কাজের সুজোগ পেলে আপকামিং টেকনোলজি আমি শিখতে পারবো।
৮) আপনি কতো সেলারি চান?
ইন্টারভিউয়ার যদি আপনাকে পছন্দ করেন, তাহলে আপনার কাঙ্খিত সেলারি জানতে চাইবেন। এক্ষেত্রে ফ্রেশর আর এক্সপেরিয়েন্স ক্যান্ডিডেট এর উত্তর ভিন্ন হবে। নিচের দুই ধরনের উদাহরণ থেকে আপনারা আইডিয়া করতে পারবেন আপনাকে কি উত্তর দিতে হবে।
উদাহরণ ১: ফ্রেশার এপ্লিকেন্ট
আমার যেহেতু প্রাকটিকাল কাজের কোনো অভিজ্ঞতা নাই, তাই এই আওরগানাইজেশনে কাজের সুজোগ পাওয়াটা আমার কাছে অনেক বেশি জরুরি। আমার একাডেমিক নলেজ অনুযায়ী কোম্পানির স্কেল অনুসারে যে সেলারি হবে , আমি সেটাতেই কাজ করবো।
আমার যেহেতু প্রাকটিকাল কাজের কোনো অভিজ্ঞতা নাই, তাই এই আওরগানাইজেশনে কাজের সুজোগ পাওয়াটা আমার কাছে অনেক বেশি জরুরি। আমার একাডেমিক নলেজ অনুযায়ী কোম্পানির স্কেল অনুসারে যে সেলারি হবে , আমি সেটাতেই কাজ করবো।
উদাহরণ ২: এক্সপিরিএন্সড এপ্লিক্যান্ট
আমি ২ বছরের এক্সপিরিয়েন্স এবং বর্মানে ৬৭ হাজার টাকা সেলারি পাই। আমি আশা করবো এই কোম্পানি আমাকে এমন কিছু অফার করবে যেটা মার্কেট ভ্যালুর সাথে সামঞ্জস্য পূরণ এবং আমি আমার পজিশন অনুযায়ী লিভিং স্ট্যান্ডার্ড মেন্টেন করতে পারি।
আমি ২ বছরের এক্সপিরিয়েন্স এবং বর্মানে ৬৭ হাজার টাকা সেলারি পাই। আমি আশা করবো এই কোম্পানি আমাকে এমন কিছু অফার করবে যেটা মার্কেট ভ্যালুর সাথে সামঞ্জস্য পূরণ এবং আমি আমার পজিশন অনুযায়ী লিভিং স্ট্যান্ডার্ড মেন্টেন করতে পারি।
৯) আপনার ক্যারিয়ার গোল কি?
এ ক্ষেত্রে আপনি আপনার শর্টটার্ম এবং লং টার্ম গোলের কথা বলতে পারেন
উদাহরণ :
আমি এই কোম্পানিতে কাজ করে কাজ শিখতে চাই , এই অভিজ্ঞতা আমাকে এই কোম্পানির উচ্চ পদে নিয়ে যেতে সাহাজ্য করবে।
আমি এই কোম্পানিতে কাজ করে কাজ শিখতে চাই , এই অভিজ্ঞতা আমাকে এই কোম্পানির উচ্চ পদে নিয়ে যেতে সাহাজ্য করবে।
১০) আমাদের সম্পর্কে আপনার কিছু জানার আছে কি?
অনেক সময় ইন্টারভিউয়ার আপনাকে প্রশ্ন করবে কম্পানি সম্পর্কে কিছু জানার আছে কি না। এক্ষেত্রে প্রশ্নকর্তার মুড্ বুঝে আপনি ডিসিশন নেবেন যে আর কোনো প্রশ্ন করবেন কি না। যদি মনে হয় খুব সময় নাই, তাহলে আপনি বলতে পারেন, ধন্যবাদ , এই মুহূর্তে আমার কিছু জানার নাই। আর যদি উনার টাইম থাকে তাহলে প্রথমে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়ার কারনে ধন্যবাদ দিয়ে নিচের প্রশ্নগুলো করতে পারেন
• এখানকার সেলারি স্ট্রাকচার কেমন?
• কাজের সময়?
• কোথায় পোস্টিং হতে পারে?
• ট্রেনিং এর জন্য কি ব্যবস্তা আছে?
• প্রভিশনারি পিরিয়ড কতদিন?
• ওভারটাইম এলাউন্স আছে কি না , ইত্যাদি
• কাজের সময়?
• কোথায় পোস্টিং হতে পারে?
• ট্রেনিং এর জন্য কি ব্যবস্তা আছে?
• প্রভিশনারি পিরিয়ড কতদিন?
• ওভারটাইম এলাউন্স আছে কি না , ইত্যাদি
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন , কখনোই ২ কিংবা ৩ টার বেশি প্রশ্ন করবেন না এবং উত্তর দেওয়ার পরে অবশ্যি ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না।
উপরের প্রশ্নগুলো ঠিকঠাক মতো উত্তর দিতে পারলে আপনার চাকুরীর সুযোগ অনেক বেড়ে যাবে। এর মানে এই না আপনি চাকুরী পেয়েই যাবেন। কারন বর্তমান বাজারে চাকুরী পাওয়াটা খুব সহজ না। আপনাকে ধৈর্যের সাথে এপ্লাই এবং ইন্টারভিউতে অংশ নিতে হবে। বাসায় প্রশ্নগুলোর উত্তর ঝালাই করে নিতে হবে। মনে রাখবেন, আপনি যত সাবলীল ভাবে উত্তর দিতে পারবেন, তত বেশি আপনার চান্স থাকবে চাকুরীটা পাওয়ার।
ক্যারিয়ার বিষয়ক
বিভিন্ন পরামর্শ পেতে ভিজিট করুন: www.Samaharsoft.com/blog
0 Comments