আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাদের স্বপ্ন হচ্ছে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা করার, যাদের সামর্থ্য আছে তারা প্রায় বিদেশে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করলে ও দেশের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পক্ষে নিজ খরচে বিদেশে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করা স্বপ্ন রয়ে যায়। দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা বৃত্তির ঘোষণা দেয়, বিভিন্ন দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট কিংবা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে খোঁজ নিলে পাওয়া যাবে এই বৃত্তির তথ্য। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটও নিয়মিত বিভিন্ন দেশের বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। প্রতি বৎসর প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীদের প্রফেসর ফান্ডের মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান করে পড়াশোনা করার সুযোগ প্রদান করছে চীন, জাপান, দক্ষিণ, কোরিয়া, জার্মাণী ও সুইডেন। কিন্তু এই স্বপ্ন পুরণ করতে আছে অনেক ঝামেলা। ভালো প্রস্তুতি এর পাশে টোফেল, আই এল টি এস এবং অন্য ভাষার প্রয়োজনীয়তা। দরকারী কাগজ পত্র, যেই বিশ্ব বিদ্যালয়ে যাবেন সেই বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন ও ষ্টুডেন্ট ভিসার ঝামেলা তো আছেই। বিদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার পেলেই যে দেশটিতে পড়ার সুযোগ মিলবে তা কিন্তু নয়। স্টুডেন্ট ভিসা না পেলে সব পরিশ্রমই বৃথা যাবে।
আসুন জেনে নিই কি কি কারণে আবেদনকারীর ভিসা প্রত্যাখ্যান হতে পারে।
* একাডেমিক পরীক্ষায় ফল ভালো হলে ভর্তির অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অন্যান্য যোগ্যতা বা কাগজপত্রের গুরুত্বও কম নয়। ইংরেজি ভাষা দক্ষতা পরীক্ষায় ভালো স্কোর না থাকলে আপনার ভিসা প্রত্যাখ্যান হতে পারে।
* বিশ্ব বিদ্যালয় কর্তৃক অফার লেটার পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসে। জেনে রাখা ভাল বিভিন্ন দেশ স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দেয়। তবে আবেদনপ্রক্রিয়া প্রায় একই এছাড়া কিছু কিছু দেশে ভিসা পেতে সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হতে হয়। তবে বেশিরভাগ দেশেই এখন সাক্ষাৎকারের প্রয়োজন হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘অফার লেটার’ পাঠালেই কোনো কোনো দেশের স্টুডেন্ট ভিসা প্রায় নিশ্চিত। আবার কোনো দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার পাওয়া সহজ হলেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের গরমিল থাকার কারণে ভিসা পাওয়া কঠিন।
* বিভিন্ন দেশ কিছু বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই ভিসা প্রদান করে। পড়াশোনা শেষ করে আবেদনকারী নিজে দেশে ফিরে আসবে কি না তার উপর সঠিক উত্তর দিতে না পারলে ভিসা প্রত্যাখ্যান হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
* কিছু কিছু উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইট, অবৈধ বা ভুয়া স্পন্সর দেখানো, সঠিক তথ্য না দেয়া বা আবেদনপত্রে ভুল তথ্য থাকার কারণে ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান বা বাতিল হতে পারে। * এছাড়া শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কোনোটি বাদ পড়া, একাডেমিক ফল ভালো না হওয়া, অফার লেটার পাঠানো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান ভালো না থাকা, কাগজপত্র ইংরেজির পরিবর্তে অন্য কোনো ভাষায় থাকা, সনদসহ জমা দেয়া বিভিন্ন কাগজপত্রের অনুলিপি ঠিক না থাকার কারণেও এমনটি হতে পারে।
0 Comments