প্রযুক্তি ডেস্ক:
দিন দিন প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে
মানুষ। দৈনন্দিন কাজ বা ব্যস্ততার পর কিছুটা সময় কাটাতে মানুষ এখন
ভার্চুয়ালিটির দিকে ঝুঁকছে বেশি। অফিসের কাজ কিংবা সামাজিক যোগাযোগ,
সবক্ষেত্রেই এখন অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করছে মানুষ। যে কারণে দরকার হয়
পাসওয়ার্ড। এক্ষত্রে ১২৩৪৫, ১২৩৪৫৬৭৮ বা অন্যান্য সমজাতীয় পাসওয়ার্ড
ব্যবহার করে থাকেন অনলাইন ব্যবহারকারীরা।
অনলাইন ব্যাংকিং, মেইল, অফিস স্টাফ বা
সোশ্যাল মিডিয়া, যাই হোক না কেন আলাদা আলাদা করে পাসওয়ার্ড দিতে হয়
সবকিছুর। বিভিন্ন রকম পাসওয়ার্ডের ঝামেলা এড়াতে নিজের প্রয়োজনীয় অনলাইন
মাধ্যমের একই পাসওয়ার্ড দেন ব্যবহারকারীরা। কিন্তু এর মাঝেই যে বিপদ থাকতে
পারে তা জানেন কজন?
সম্প্রতি স্পোর্টস পোশাক প্রস্তুতকারী
সংস্থা অ্যাডিডাস জানিয়েছে, চলতি বছর এমন বেশ কিছু পাসওয়ার্ডের ব্যবহার
বেড়েছে, যা ব্যবহার করে হ্যাকাররা সহজেই হ্যাক করতে পারে যেকোনো
ব্যবহারকারীর অনলাইন মাধ্যমটি। এতে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার
সম্ভাবনা তৈরি হয়। এ কারণে তাদের সঙ্গে লেনদেন বা সামাজিক যোগযোগে সতর্ক
হতে অনুরোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
তারা বলছে, মোবাইল বা ল্যাপটপকে সুরক্ষিত
রাখতে অ্যান্টি-ভাইরাস, ইন্ট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়, সেভাবেই
তাদের অনলাইন ব্যাংকিং, মেইল, অফিস স্টাফ বা সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর
পাসওয়ার্ডটিও শক্তিশালী হওয়া জরুরি।
কোনো জরুরি ওয়েবপোর্টাল বা সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম হ্যাক হলে তার পরিসংখ্যানকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান
SplashData বলছে, চলতি বছরের বিপদজনক ১০০টি পাসওয়ার্ড তারা পেয়েছে, যা
ব্যবহার করে প্রচুর অনলাইন সেগমেন্ট হ্যাক করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি
পাসওয়ার্ড প্রকাশ করেছে তারা। যা হলো- ১২৩৪৫, ১২৩৪৫৬৭৮, পাসওয়ার্ড,
কোয়ার্টি, ফুটবল, আইলাভইউ, অ্যাডমিন, ওয়েলকাম, মাঙ্কি, লগইন, এবিসি১২৩,
স্টারওয়ার্স, ১২৩১২৩, ড্রাগন, মাস্টার, হ্যালো, ফ্রিডম, হোয়াটএভার,
লেটমিইন, ৬৫৪৩২১।
SplashData জানিয়েছে, মূলত এসব
পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে হ্যাকাররা একজন ব্যবহারকারীর অনলাইন স্টাফে ঢুকে তার
সমস্ত তথ্য ফাঁস করে। আবার অনেকের কাছে অর্থও দাবি করে তারা।
0 Comments