বই আত্মাকে পরিপুষ্ট করে, জ্ঞানকে করে সমৃদ্ধ। বই হচ্ছে মানুষের
সত্যিকার বন্ধু, যা মানুষের বুকের ভেতর সযতেœ লালন করা স্বপ্নের বাস্তব রূপ
দিতে পারে। প্রিয় বন্ধু ভুলে যেতে পারে, কাছের মানুষ ছেড়ে দূরে চলে যেতে
পারে; কিন্তু বই কখনও আপনাকে ছাড়বে না, যদি আপনি কখনও বই পড়া ছেড়ে না দেন।
বই পড়া নিয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি : আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন, ‘মানুষ জন্মেছে প্রাণী হয়ে। সেটা একধরনের মানুষ। আরেক ধরনের মানুষ হচ্ছে বিকশিত মানুষ। মানুষের বিকাশের জন্য কেবল বই পড়লেই হবে। কারণ যে বই পড়ে, সে কবিতাও পড়ে, গান শোনে, চিত্রকলা বোঝে, পূর্ণিমার আলো, নীল আকাশ সবই বোঝে।’
জগৎখ্যাত কবি ওমর খৈয়ম বলেছেন, ‘রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে; কিন্তু একখানা বই সব সময় অনন্ত-যৌবনাÑ যদি তেমন বই হয়।’
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘বই পড়া মানুষ বই দিয়ে অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যে সাঁকো বেঁধে দিয়েছে।’
বার্ট্রান্ড রাসেল বলেছেন, ‘সংসারে জ্বালা-যন্ত্রণা এড়ানোর প্রধান উপায় হচ্ছে, মনের ভেতর আপন ভুবন সৃষ্টি করে নেওয়া এবং বিপদকালে তার ভেতর ডুব দেওয়া। যে যত বেশি ভুবন সৃষ্টি করতে পারে, ভবযন্ত্রণা এড়ানোর ক্ষমতা তার ততই বেশি হয়।’
আল্লামা শেখ সাদি বলেছেন, ‘জ্ঞানের জন্য তুমি মোমের মতো গলে যাও। কারণ জ্ঞান ছাড়া তুমি খোদাকে চিনতে পারবে না।’
ড. মুহম্মদ এনামুল হক বলেছেন, ‘কেবল বই পড়েই মানুষ তার পরিপূর্ণ জীবনের একটা ইঙ্গিত, একটা সংকেত আভাস লাভ করতে পারে।’
সৈয়দ মুজতবা আলী ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লিখেছেনÑ ‘বই কিনে কেউ তো কখনও দেউলে হয়নি। বই কেনার বাজেট যদি আপনি তিনগুণও বাড়িয়ে দেন, তবুও তো আপনার দেউলে হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘চোখ বাড়াবার পন্থাটা কী? প্রথমতÑ বই পড়া এবং তার জন্য দরকার বই পড়ার প্রবৃত্তি।’
প্রমথ চৌধুরী ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে বলেছিলেন, ‘বই পড়ার অভ্যাসটা যে বদঅভ্যাস নয় এ কথাটা সমাজকে এ যুগে মাঝে মাঝে স্মরণ করিয়ে দেওয়া আবশ্যক; কেননা মানুষে একালে বই পড়ে না, পড়ে সংবাদপত্র।’
ভারতের বিখ্যাত সমাজতত্ত্ববিদ আলবেরুনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে একদিন অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে আছেন। পাশে অবস্থানরত তার এক বন্ধু। তিনি তাকে বললেন, জ্যামিতির একটি সংজ্ঞা আমার জানা দরকার। বন্ধুটি বললেন, তুমি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। এসব এখন জেনে কী লাভ হবে? আলবেরুনি প্রত্যুত্তরে বলেছিলেন ‘মৃত্যুর আগে এটি আমি জেনে যেতে পারলে হয়তো আমার জীবনটা আরও ধন্য হবে।’
জ্ঞানের শেষ নেই। জ্ঞান অর্জনে বইয়ের বিকল্প কিছুই নেই।
গ্রন্থনা : বিউটি আক্তার
বই পড়া নিয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি : আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন, ‘মানুষ জন্মেছে প্রাণী হয়ে। সেটা একধরনের মানুষ। আরেক ধরনের মানুষ হচ্ছে বিকশিত মানুষ। মানুষের বিকাশের জন্য কেবল বই পড়লেই হবে। কারণ যে বই পড়ে, সে কবিতাও পড়ে, গান শোনে, চিত্রকলা বোঝে, পূর্ণিমার আলো, নীল আকাশ সবই বোঝে।’
জগৎখ্যাত কবি ওমর খৈয়ম বলেছেন, ‘রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে; কিন্তু একখানা বই সব সময় অনন্ত-যৌবনাÑ যদি তেমন বই হয়।’
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘বই পড়া মানুষ বই দিয়ে অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যে সাঁকো বেঁধে দিয়েছে।’
বার্ট্রান্ড রাসেল বলেছেন, ‘সংসারে জ্বালা-যন্ত্রণা এড়ানোর প্রধান উপায় হচ্ছে, মনের ভেতর আপন ভুবন সৃষ্টি করে নেওয়া এবং বিপদকালে তার ভেতর ডুব দেওয়া। যে যত বেশি ভুবন সৃষ্টি করতে পারে, ভবযন্ত্রণা এড়ানোর ক্ষমতা তার ততই বেশি হয়।’
আল্লামা শেখ সাদি বলেছেন, ‘জ্ঞানের জন্য তুমি মোমের মতো গলে যাও। কারণ জ্ঞান ছাড়া তুমি খোদাকে চিনতে পারবে না।’
ড. মুহম্মদ এনামুল হক বলেছেন, ‘কেবল বই পড়েই মানুষ তার পরিপূর্ণ জীবনের একটা ইঙ্গিত, একটা সংকেত আভাস লাভ করতে পারে।’
সৈয়দ মুজতবা আলী ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লিখেছেনÑ ‘বই কিনে কেউ তো কখনও দেউলে হয়নি। বই কেনার বাজেট যদি আপনি তিনগুণও বাড়িয়ে দেন, তবুও তো আপনার দেউলে হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘চোখ বাড়াবার পন্থাটা কী? প্রথমতÑ বই পড়া এবং তার জন্য দরকার বই পড়ার প্রবৃত্তি।’
প্রমথ চৌধুরী ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে বলেছিলেন, ‘বই পড়ার অভ্যাসটা যে বদঅভ্যাস নয় এ কথাটা সমাজকে এ যুগে মাঝে মাঝে স্মরণ করিয়ে দেওয়া আবশ্যক; কেননা মানুষে একালে বই পড়ে না, পড়ে সংবাদপত্র।’
ভারতের বিখ্যাত সমাজতত্ত্ববিদ আলবেরুনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে একদিন অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে আছেন। পাশে অবস্থানরত তার এক বন্ধু। তিনি তাকে বললেন, জ্যামিতির একটি সংজ্ঞা আমার জানা দরকার। বন্ধুটি বললেন, তুমি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। এসব এখন জেনে কী লাভ হবে? আলবেরুনি প্রত্যুত্তরে বলেছিলেন ‘মৃত্যুর আগে এটি আমি জেনে যেতে পারলে হয়তো আমার জীবনটা আরও ধন্য হবে।’
জ্ঞানের শেষ নেই। জ্ঞান অর্জনে বইয়ের বিকল্প কিছুই নেই।
গ্রন্থনা : বিউটি আক্তার
0 Comments