জ্বর জ্বর ভাব হলে কখন ‘ওষুধ’ খেতে হবে?

www.samaharsoft.com
ছুটির তেমন একটা অবকাশ নেইবর্তমানে দৈনন্দিন কর্মব্যস্ত জীবনে। তাই প্যারাসিটামল খেয়ে নেন অনেকেই শরীরের তাপমাত্রা বাড়লেই বা একটু জ্বর জ্বর ভাব দেখলেই। কারণ জ্বর গায়ে বাড়িতে শুয়ে থাকলে যে চলবে না।
অনেক কারণেই জ্বর হতে পারে। কিছু তথ্য থেকে জানা যায় উচ্চ তাপমাত্রায় শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যদিও জ্বরের উপকারিতা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। তবে অ্যান্টিপাইরেটিক ওষুধ ব্যবহার করে জ্বর কমানো যায়।শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম প্রধান লক্ষ্মণ জ্বর (যা পাইরেক্সিয়া নামেও পরিচিত), যা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার সীমার ৩৬.৫–৩৭.৫ °সে (৯৭.৭–৯৯.৫°ফা) অধিক তাপমাত্রা নির্দেশ করে। শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি সত্ত্বেও সাধারণত ঠান্ডা অনুভূত হয়। উচ্চ নির্দিষ্ট সূচক (set point) থেকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হলে গরম অনুভূত হয়।
শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট না ছাড়ালে জ্বরের ওষুধ না খাওয়াই ভাল। সাধারণ ভাইরাল ফিভার নিজে থেকেই সেরে যাওয়ার কথা। প্রয়োজন কেবল বিশ্রাম আর পর্যাপ্ত খাবার। সাধারণ জ্বর হলে গা হাত পা ব্যথা কমাতে অনেকেই অ্যাসপিরিন বা এই জাতীয় ব্যথার ওষুধ (পেইনকিলার) খান। আর না জেনে বুঝে ওষুধ খেলেই বিপদ।অনিয়ন্ত্রিত হাইপারথার্মিয়ার সাথে জ্বরের পার্থক্য আছে; সেটা হল, হাইপারথার্মিয়া দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক সূচকের অতিরিক্ত তাপমাত্রার ফল।
জ্বরের প্রবণতা বাড়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আবহাওয়ার কারণে। আর জ্বরের ঝুঁকি বেশি শিশু বা বয়স্কদের মধ্যেই।জদ
আর যদি তিন দিন হয়ে গেলেও যদি জ্বর না কমে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিন। কারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বর (ভাইরাল ফিভার) হলে দু’-তিন দিনের মধ্যেই তা সেরে যায়। ডেঙ্গুর মতো মারাত্মক (হেমারেজিক ফিভার) প্রাণঘাতি জ্বরে ব্যথার ওষুধ খেলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক ক্ষতিকর। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই সব ওষুধ খেলে নাক-মুখ দিয়ে বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।

Post a Comment

0 Comments