উদ্যোক্তা হতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে চ্যালেঞ্জ নিতে শিখতে হবে।
সেইসাথে শিখতে হবে ত্যাগ স্বীকার করা, ও নিজের মনোবলকে সব সময়ে পজিটিভ
রাখা।
এটা সবারই জানা, উদ্যোক্তা হওয়ার পথে বাধা আর
চ্যালেঞ্জ আসবেই, বিশেষ করে যাঁরা একদমই প্রথমবারের মত কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন
তাঁদের সামনে এমন কিছু বিষয় আসবে – যা তাঁরা ভাবতেও পারেননি।
কাজেই,
আপনি যদি উদ্যোক্তা হতে চান, তবে প্রথমেই নিজেকে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার
জন্য প্রস্তুত করে নিন। বেস্ট সেলিং “চিকেন স্যুপ ফর দি সৌল” সেলফ
ডেভেলপমেন্ট বুক সিরিজের মূল লেখক ও সফল উদ্যোক্তা ভিক্টর হ্যানসেন বলেন –
“বিরাট চ্যালেঞ্জ জয় করা ছাড়া অসাধারণ সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়”
উদ্যোক্তা
হওয়ার প্রথম ধাপেই যদি ৫টি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা শিখে যান – তবে সফল
উদ্যোক্তা হওয়া আপনার জন্য অনেক সোজা হয়ে যাবে। চলুন জেনে আসি
উদ্যোক্তা হতে চাইলে যে ৫টি চ্যালেঞ্জ আপনাকে জয় করতে হবে
১. লাইফস্টাইলে পরিবর্তন
প্রথমেই বলেছি, উদ্যোক্তা হতে চাইলে আপনাকে বেশকিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
এই পথে নামার পর থেকেই আপনার জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে শুরু করবে।
আপনার চিন্তা ভাবনা থেকে শুরু করে আপনার ব্যবহার আচার, চলাফেরা, কথাবার্তা –
সবকিছুতেই বদল আসবে।
ভালোভাবে
কাজ শুরু করার পর বুঝতে পারবেন – আপনি ইচ্ছামত ঘুমাতে পারছেন না, নিজের মত
সময় কাটানোর মত সময় পাচ্ছেন না, বন্ধুবান্ধবের সাথে ইচ্ছামত আড্ডা দিতে
পারছেন না। সেইসাথে, অনেক কাছের মানুষ – যারা কখনও আপনার ব্যাপারে প্রশ্ন
করেনি – তারা বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করতে শুরু করবে। কারণ তাদের পেছনে যে
এনার্জি ও সময় দিতেন – তা এখন আর দিচ্ছেন না। অনেকে স্বার্থপরও বলে বসবে।
মানুষ
যেভাবে আগে আপনাকে দেখত, এখন আর দেখবে না। এবং এটা অনেক সময়েই আপনাকে
মানসিক যন্ত্রণা দেবে। এবং এগুলো সাথে নিয়ে নিজের কাজ করে যাওয়াটা বড় একটা
চ্যালেঞ্জ।
কিন্তু সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য এগুলো সহ্য করে কাজ করে
যেতে হবে। ব্যবসা সফল হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনার প্রধান মনোযোগের বিষয় হবে
কিভাবে ব্যবসাকে সফল করবেন। এবং সফল হওয়ার পরও আপনাকে এটা চালিয়ে যেতে হবে।
আপনার
প্রতিটি দিনই হতে হবে রুটিন মাফিক, শিডিউল ধরে। দিনের প্রতিটি কাজ যেন
কোনও না কোনও ভাবে আপনার ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখে। আগে হয়তো যখন
ইচ্ছা ঘুমিয়েছেন, জেগেছেন। যেভাবে ইচ্ছা খরচ করেছেন – কিন্তু এখন থেকে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অবসর সময়ে টিভি বা সিনেমা দেখার বদলে নিজের দক্ষতা বাড়ানোর কাজ করতে হবে।
সব সময়ে ব্যবসা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কিভাবে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হবেন – তাই হবে আপনার ধ্যান জ্ঞান।
আগে হয়তো কিছু পছন্দ হলেই দাম দিয়ে কিনে ফেলতেন – কিন্তু এখন আপনাকে
হিসেবী হতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া টাকা খরচ করা বা বিলাসী পন্য কেনা বাদ দিতে
হবে। রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড বই এর লেখক রবার্ট কিওসাকি এই ব্যাপারে সর্বোচ্চ জোর দিয়েছেন।
নিজের
লাইফস্টাইলে এসব পরিবর্তন আনা অনেকের জন্যই বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু সফল উদ্যোক্তা হতে চাইলে – নিজের লাইফস্টাইল বদলাতেই হবে। কাজেই,
যখন থেকেই লক্ষ্য ঠিক করেছেন যে আপনি উদ্যোক্তা হবেন – তখন থেকেই এই
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুতি নিন। একটু একটু করে নিজের
লাইফস্টাইলকে উদ্যোক্তা হওয়ার উপযোগী করতে থাকুন। একটা সময়ে গিয়ে ঠিকই
পারবেন। জোনাকি মিডিয়া গ্রুপ
২. অনিশ্চয়তার মুখে এগিয়ে যাওয়া
আপনি যখন নতুন ব্যবসা শুরু করবেন – তখন অবশ্যই মাথায় রাখবেন যে, ব্যবসা সব সময়েই একটি অনিশ্চিত ব্যাপার।
নিজের
পুরোটা দিয়ে লেগে থাকলে যে কোনওকিছুতে সফল হওয়া যায় – এটা যেমন সত্যি –
তেমনি এটাও সত্যি যে, ব্যবসার সাফল্য অনেক ক্ষেত্রেই অনেক সময় নিতে পারে।
এমনকি যদি বাজারের সেরা প্রোডাক্ট বা সার্ভিসও আপনার হাতে থাকে – তারপরও নামার সাথে সাথেই সফল হবেন – এটা কোনওভাবেই বলা যায় না।
পন্য ভালো হলেও আপনার সেলস টেকনিক বা বিক্রয় কৌশল –
এ সমস্যা থাকতে পারে। আপনার পন্য বা সেবা ক্রেতাদের এখন প্রয়োজন না হতে
পারে। আপনি বাজারে নামার সময়েই হয়তো আরও একজন প্রতিযোগী বাজারে নেমে আপনার
মার্কেট শেয়ারে ভাগ বসাতে পারে। আবার হয়তো বাজারে নেমে দেখতে পাবেন আগে যা
হিসাব করেছিলেন, পন্য চালাতে তারচেয়ে অনেক বেশি খরচ হচ্ছে – এমন নানান
ধরনের অপ্রত্যাশিত বিষয় ঘটতে পারে।
ছোট হোক, বড় হোক – নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে মাঠে নামলে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটবেই।
আপনি যেমনটা আশা করবেন – প্রথমেই তেমনটা ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম। এবং এই
চ্যালঞ্জ মোকাবেলা করার প্রস্তুতি ও মানসিকতা নিয়েই আপনাকে শুরু করতে হবে।
অনিশ্চয়তার
মুখেও সফল ভাবে এগিয়ে যেতে পারাই এই চ্যালেঞ্জকে জয় করার সেরা উপায়। আর এই
অনিশ্চয়তার চ্যালেঞ্জ জয় করতে হলে আপনাকে ব্যবসা শুরু করার আগেই কিছু বিষয়
হিসাব করে রাখতে হবে। নিচের কয়েকটি পয়েন্ট আপনাকে এ বিষয়ে সাহায্য করবে –
**
মার্কেটে নামার আগে কয়েক ধরনের মার্কেটিং প্ল্যান সেট করুন। প্ল্যান A, B,
C – এভাবে পরিকল্পনা সাজান। কি কি কারণে প্রথম প্ল্যানটি কাজ না করতে
পারে, সেগুলো নির্দিষ্ট করে বোঝার চেষ্টা করুন। এরপর সেই কারণগুলো ঘটলে কি
ব্যবস্থা নেবেন – তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন দ্বিতীয় প্ল্যান হিসেবে। আবার
দ্বিতীয় প্ল্যানের ক্ষেত্রেও একই কাজ করুন। এভাবে করলে দেখবেন সম্ভাব্য সব
অনিশ্চয়তা গুলো বুঝতে পারার পাশাপাশি সেই সমস্যার সমাধানও ভাবতে পারছেন।
এতেকরে, বাস্তবে এইসব পরিস্থিতিতে পড়লে সহজেই বিপদ কাটাতে পারবেন।
**
মার্কেটে নেমে অনেক সময়েই দেখা যায় যা বাজেট করেছিলেন – তাতে কাজ হচ্ছে
না। এই ঝামেলা এড়ানোর জন্য কিছু টাকা আলাদা করে রাখুন। বাজেট ঘাটতি
পুরোপুরি পূরণ না হলেও, ধাক্কা সামলানো সহজ হয়ে যাবে।
**
অপ্রত্যাশিত প্রতিযোগীতা বা ক্রেতা/গ্রাহকদের নেতিবাচক রেসপন্স হলে কি
করবেন – তা আগে থেকে প্ল্যান করে রাখুন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন।
তারা কি ধরনের সমস্যায় পড়েছিল, এবং কিভাবে এর সমাধান করেছিল – তা জানার
চেষ্টা করুন, এবং সেই অনুযায়ী নিজের প্ল্যান সাজান।
**
প্রথমেই একবারে না নেমে একটু একটু করে পরীক্ষামূলক ভাবে এক একটি পরিকল্পনা
বাস্তবায়ন করুন। সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখবেন না। পরীক্ষামূলক অবস্থায় যে
কৌশলটি সবচেয়ে ভালো ফল দেবে – সেটাই চূড়ান্ত ভাবে কাজে লাগান।
একজন
উদ্যোক্তা কখনওই অনিশ্চয়তা বা চ্যালেঞ্জ দেখে পিছিয়ে যান না। সঠিক
পরিকল্পনা ও কাজ দিয়ে প্রতিটি অনিশ্চয়তাই জয় করা সম্ভব। অনিশ্চয়তার মুখে
এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা সফল উদ্যোক্তা হওয়ার একটি প্রধান শর্ত ।
৩. সঠিক টিম গড়া
একটি নতুন ব্যবসাকে সফল করার প্রধান একটি শর্ত হল সঠিক মেম্বারদের নিয়ে টিম গড়তে পারা। যে কোনও নতুন উদ্যোগ সফল করার জন্য টিম ওয়ার্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আর কার্যকর টিম তৈরী করতে পারাটা যে কোনও নতুন উদ্যোক্তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ গুলোর একটি।
প্রতি বছর গড়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার আয় করা আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী “হানিওয়েল” এর সাবেক চেয়ারম্যান ও সিইও লরেন্স বসিডে বলেন:
“আমি
নিশ্চিত যে একটি কোম্পানীর জন্য সঠিক লোকদের খুঁজে বের করার চেয়ে জরুরী আর
কিছুই নেই। দিন শেষে মানুষই একটি কোম্পানীকে এগিয়ে নেয়”
তরুণ উদ্যোক্তারা একটি ভুল প্রায়ই করেন। তাঁরা সব জায়গায় সেরা লোকটিকে বসাতে চান। এই ভুল স্টিভ জবস
এর মত মানুষও করেছেন। পেপসি কো – এর মার্কেটিং হেডকে এ্যাপলে এনেছিলেন
তিনি। যে লোক এ্যাপলকে প্রায় শেষ করে দিয়েছিল। জন স্কালি নামের এই লোক খোদ
জবসকেই এ্যাপল থেকে বের করে দিয়েছিলেন।
আসলে সেরাদের সেরাকে টিমে নেয়ার বদলে এমন লোককে টিমে নেয়া উচিৎ, যে টিমের প্রতি নিবেদিত এবং কাজের প্রতি আন্তরিক।
এ প্রসঙ্গে আলিবাবা ফাউন্ডার জ্যাক মা এর উক্তি না বললেই নয়: “সেরা টিম গড়ার জন্য সেরা লোকের চেয়ে সঠিক লোক বেশি প্রয়োজন”
নতুন উদ্যোক্তাদের টিমের জন্য এমন লোক খুঁজে বের করতে হবে, যে কাজের প্রতি আন্তরিক এবং নিজের ইগো কে প্রাধান্য না দিয়ে যে টিম ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়।
এই
ধরনের লোক খুঁজে পাওয়া আসলেই একটি বড় চ্যালেন্জ। হোক সে পার্টনার বা
কর্মী। কিন্তু সফল উদ্যোক্তা হতে চাইলে সঠিক লোক পাওয়ার আগ পর্যন্ত আপনাকে
এমন লোকের সন্ধান করে যেতে হবে। একবার সঠিক লোকদের নিয়ে টিম গড়তে পারলে
অনেকটাই এগিয়ে যাবেন।
৪. মূলধন বা ক্যাপিটাল ব্যবস্থাপনা
বেশিরভাগ নতুন ব্যবসার উদ্যোগগুলো ব্যর্থ হওয়ার পেছনে প্রধান একটি কারণ হল মূলধন বা ক্যাপিটালকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে না পারা।
উদ্যোক্তা
হতে চাইলে আপনাকে ব্যক্তিগত ও ব্যবসার টাকা আলাদা করতে শিখতে হবে।
প্রয়োজনে আলাদা আলাদা এ্যাকাউন্টে টাকা রাখতে হবে। আগে হয়তো এক জায়গায় সব
টাকা রেখে খরচ করতেন, কিন্তু ব্যবসা শুরুর পর আর তা করা যাবে না। যে কোনও অভ্যাস দূর
করাটাই একটা চ্যালেঞ্জ, আর টাকা পয়সা সংক্রান্ত অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করাটা
আরও বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে চাইলে এটা আপনাকে
করতেই হবে।
সেইসাথে অবশ্যই প্রতিটি টাকা হিসেব করে খরচ করার অভ্যাস করতে হবে। ধনীদের অভ্যাস গুলোর মধ্যে এটা অন্যতম। এক একটি টাকা কোথায় যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে – এসব ভালোভাবে চিন্তা করে তারপর খরচ করবেন।
আরও
একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, ব্যবসার শুরুতেই চকমকে বিজনেস কার্ড, অফিস সেট
আপ, ইন্টরিয়র, রিসিপশনিস্ট, দামী ইকুইপমেন্ট – এসবের পেছনে টাকা খরচ করবেন
না। এগুলো করবেন লাভের টাকা আসার পর নির্দিষ্ট বাজেট করে। এসবের পেছনে টাকা খরচ করতে গিয়ে অনেক ব্যবসাই মার খেয়ে গেছে।
বাজেট,
ইমার্জেন্সী ফান্ড – ইত্যাদি বিষয় মাথায় রাখবেন। প্রতিটি টাকার লিখিত
হিসাব রাখবেন, এবং বাজে খরচ করবেন না। তাহলেই সঠিক ভাবে ক্যাপিটাল ম্যানেজ
করতে পারবেন এবং প্রাথমিক আর্থিক চ্যালেঞ্জ ভালোভাবে সামলাতে পারবেন।
৫. বিচ্ছিন্নতা
প্রথমেই
বলেছি, উদ্যোক্তা হতে চাইলে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আসবে। আপনি অন্যদের আগের
মত সময় দিতে পারবেন না। কিছুদিন তারা আপনাকে ডাকবে, কিন্তু আপনি যখন
ব্যস্ততার কারণে সময় দিতে পারবেন না – তখন ধীরে ধীরে মানুষ আপনাকে বিভিন্ন কারণে ডাকা বন্ধ করে দেবে।
এই
সময়ে নিজেকে ধরে রাখাটা বড় একটি চ্যালেঞ্জ। আড্ডা বা এই ধরনের কাজে আপনাকে
যখন অন্যরা কম ডাকবে – তখন আপনি ব্যাপারটা মিস করতে থাকবেন। মাঝে মাঝে মনে
হবে কাজ ফেলে আড্ডায় মেতে উঠতে বা অন্য এই ধরনের এ্যাক্টিভিটি করতে।
সমস্যা হল, নতুন উদ্যোক্তারা নিজের পুরোটা সময় ব্যবসার পেছনে দিতে গিয়ে এই পরিস্থিতিতে পড়েন। আসলে মাঝে মাঝে একটু আধটু ফান করা দোষের কিছু নয়। তবে সেটা হতে হবে শিডিউল মত।
অন্য
সবকিছুর মত মাসের কোন দিনটি ফ্রি থাকবেন এবং আপনজন ও বন্ধুবান্ধবকে সময়
দেবেন – সেটাও ঠিক করে রাখুন। এবং সেই অনুযায়ী কাজ গোছান। পুরোপুরি রোবট
হয়ে গেলে দেখা যাবে ব্যবসার ওপর থেকেই মন উঠে গেছে। কাজেই, নিজের সাপ্তাহিক
বা মাসিক শিডিউলে অন্যদের জন্যও একটু সময় রাখুন। – এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা
করার এটাই সবচেয়ে ভালো উপায়।
যে ৩০% উদ্যোক্তা বিষন্নতায় ভোগেন,
তাঁরা আসলে এই ট্রিকটি ঠিকমত কাজে লাগাতে পারেননি। কিন্তু আপনি পারবেন, এবং
ভালোভাবেই এই চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে পারবেন বলে আশা করি।
পরিশিষ্ট:
উদ্যোক্তা
হওয়ার প্রধান শর্তই হল চ্যালেঞ্জ নেয়া। আসলে যে মানুষটি উদ্যোক্তা হতে চায়
– সে এমনিতেই চ্যালেঞ্জ নেয়ার মানসিকতা সম্পন্ন। কিন্তু তারপরও অনেক সময়ে
অপ্রত্যাশিত ধাক্কা চলে আসে। সফল উদ্যোক্তা হতে চাইলে যেগুলোর জন্য
প্রস্তুত থাকা ভালো।
একজন অভিজ্ঞ উদ্যোক্তা তাঁর সামনে আসা যে কোনও
চ্যালেঞ্জ খুব ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারেন। আপনিও পারবেন। আমরা এই লেখায়
শুধু এমন সব চ্যালেঞ্জ কাভার করার চেষ্টা করেছি, যেগুলো নতুন উদ্যোক্তাদের
বেশিরভাগ সময়েই পার করতে হয়। তবে এগুলো মোকাবেলা করার প্রস্তুতি আর জ্ঞান
থাকলে সহজেই পার হওয়া যায়।
আর মনে রাখবেন, এটা কিন্তু চিরজীবনের জন্য
নয়। আপনি যখন একটি ভালো পর্যায়ে যাবেন, এবং যখন আপনার কাজ করার জন্য লোক
নিতে পারবেন – তখন সাফল্যকে পুরো মাত্রায় উপভোগ করতে পারবেন।
আর সেই পথে আপনাকে একটু সাহায্য করার জন্য উদ্যোক্তা হতে প্রাথমিক চ্যালেঞ্জগুলো আমরা এই লেখায় তুলে ধরলাম।
লেখাটির বিষয়ে আপনার যে কোনও মতামত আমাদের কমেন্ট করে জানান। আপনার প্রতিটি মতামতই আমাদের কাছে মহামূল্যবান।
আর যদি মনে হয় লেখাটি অন্যদেরও উপকার করবে – তবে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন।
সূত্র: লড়াকু
0 Comments