এক জীবনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌঁছাতে হলে:
১. ইনভেস্ট ফার্স্ট:- মুরগি ২১দিন বসে বসে ডিমে তা দেয় বলেই ২১ দিন পরে খোসা ভেঙ্গে ছানা বেরিয়ে আসে। তুমিও যদি তোমার ভিতর থেকে একজন প্রোগ্রামার, একজন গায়ক, একজন বিসিএস ক্যাডার, একজন বিজনেসম্যানকে বের করতে চাও। সেই ইনভেস্ট আগে করতে হবে। যত বড় ছানা পয়দা করতে চাও তত বেশি চেষ্টা ইনভেস্ট করতে হবে।২. সেলফ কন্ট্রোল:- জীবনকে লাইনে রাখতে হলে তিনটা জিনিসের উপরের কন্ট্রোল রাখতে হবে। এক, টাইমের উপরে কন্ট্রোল। দুই, ইমোশনের উপরে কন্ট্রোল। তিন, আউটপুটের উপরে কন্ট্রোল। তোমার এই তিনটা কন্ট্রোল পয়েন্টে তোমার চাইতে অন্যদের কন্ট্রোল যত বেশি হবে, তোমার লাইফ তত বেশি ছেঁড়াবেড়া হবে।
৩.এপ্লাইড নলেজ:-তোমার মাথায় আইডিয়া গিজগিজ করতে পারে, বুদ্ধির সাগর- বিদ্যার জাহাজ থাকতে পারো। ডেইলি দুইবেলা অন্যদের কাছ থেকে সাজেশন নিতে পারো। কিন্তু সেগুলা এপ্লাই না করলে, কাজে না লাগালে- চার আনা পয়সার দামও নাই। বরং তোমার চাইতেও কম বুদ্ধিমান, কম স্মার্টরাই তাদের আইডিয়া এপ্লাই করে করে তোমার চাইতে আরো বেশি এগিয়ে যাবে। সো, নলেজ ইজ নট পাওয়ার। এপ্লাইড নলেজ ইজ পাওয়ার।
৪. পজিটিভ থিংকিং: দুনিয়া বহুত খারাপ জায়গা। এখানে মানুষ তোমার মুখের খাবার কেড়ে নিবে। তুমি যেটা ডিজার্ভ করবা সেটাই অন্যকে দিয়ে দিবে।অন্যের দোষ তোমার ঘাড়ে এসে পড়বে। যাকে সবকিছু উজাড় করে ভালোবাসবে সেই হয়তো বাম্বু দিবে। তারপরেও তোমাকে তোমার লাইফে পজিটিভিটির ফুয়েল ঢালতে হবে। পানি থেকে উঠে হাঁস যেভাবে ঝাড়া দিয়ে সব পানি ফেলে দেয় সেভাবে তোমার হতাশা, ব্যর্থতাগুলো ঝেঁড়ে নতুন উদ্যমে, নতুন টার্গেটে, নতুন মিশনে নামতে হবে।
৫. ডিসিপ্লিন:- স্কুলে যাও- ডিসিপ্লিন। অফিসে যাও- ডিসিপ্লিন। ব্যাংকে টাকা উঠতে যাও সেখানেও ডিসিপ্লিন। এমনকি পৃথিবি সূর্যের চারদিকে ঘুরে ওই জায়গাতেও- ডিসিপ্লিন। এইবার নিজেই নিজেকে জিজ্ঞেস করো। তোমার লাইফ কতোটা ডিসিপ্লিন? ডিসিপ্লিন ছাড়া তোমার টাইমের উপরে কন্ট্রোল আসবে না। ইফেক্টিভ হ্যাবিট ডেভেলপ হবে না। স্কিল ডেভেলপ করা শুরু করলে বেশি দিন লেগে থাকতে পারবে না। তাই সারা দিন ডিসিপ্লিনে না আনতে পারলেও সকালের সময়টা বা সন্ধ্যার পরের সময়টা অন্তত ডিসিপ্লিনে আনার চেষ্টা করো। দেখবে একটু একটু করে ভালো আউটপুট আসা শুরু হয়ে গেছে।
৬. ক্যাল্কুলেটেড রিস্ক:-নো পেইন নো গেইন। নো রিস্ক নো গ্লোরি। তবে এই রিস্ক আন্দাজে মান্দাজে চোখ বন্ধ করে ঝাঁপিয়ে পড়ার রিস্ক না। বরং অন্যরা যারা এই টাইপের কাজ করেছে তাদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিয়ে, নিজে একটু চেখে দেখে বা অন্যদের করতে দেখে তারপর ক্যালকুলেটেড রিস্ক নিতে হবে। নামার পরে কি হবে সেটা গ্যারান্টি দিয়ে দুনিয়ার কেউ বলতে পারবে না। তবে ক্যাল্কুলেটেড রিস্ক নিয়ে, স্ট্রাটেজি ডেভেলপ করে, দুই-চারটা ব্যর্থতার পরেও লেগে থাকতে পারলে অনেক খারাপ অবস্থা থেকো অনেক কিছু করে ফেলা সম্ভব।
৭. লিমিটেশন:-ঝামেলা ছাড়া লাইফ নাই। লিমিটেশন ছাড়া মানুষ নাই। তাই সবারই লাইফে কিছু না কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে। আবার সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি স্ট্রেংথ বা পজিটিভ সাইডও থাকবে। সো, তোমার লাইফের সীমাবদ্ধতা, দুর্বলতা বা ভয়ের জিনিসগুলো ওভারকাম করতে পারলে ভালো। না পারলে পজিটিভ জিনিসগুলোতে ফোকাস করো। সেগুলাতে আরো ভালো করার চেষ্টা করো।
৮. কিউরিসিটি:- পাঁচ বছর আগে যে সিস্টেমে কাজ হতো। এখন সে সিস্টেমে কাজ হবে না। এখন যে সিস্টেমে কাজ হয় পাঁচ বছর পরে সেই সিস্টেমে কাজ হবে না। সো, তোমাকে নিত্য নতুন জিনিস সম্পর্কে কিউরিয়াস হতে হবে। চেখে দেখতে হবে। সেটার ভিতরে কি আছে জানার চেষ্টা করতে হবে। সেটা কিভাবে তোমার লাইফে কাজে লাগবে সেটা বুঝার চেষ্টা করতে হবে। অনেক সময় শুধু কৌতূহল বশত একটা কিছু শিখলে। পাঁচ বছর পরে দেখবে সেটাই কোন না কোন ভাবে তোমার কাজে লেগে যাচ্ছে।
0 Comments