১।ইনভেস্টমেন্টঃ
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যথেষ্ট পরিমাণ ক্যাপিটাল না থাকায়
উদ্যোগগুলো হয় বন্ধ হয়ে যায় অথবা কোন রকমে ধুকে ধুকে চলে ।যারা
ক্যাপিটাল নিয়ে শুরু করে তাদের খুব সংখ্যক সঠিক
সময়ে সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করছে।
সময়ে সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করছে।
২।লক্ষ্যঃ যেহেতু
ছোট বা মাঝারি সাইজের ই কর্মাস স্টার্ট আপগুলো শুরু হয় হুট করে হুজুগে
মাতাল হয়ে বা কারো কাছে গল্প শুনে,তাই তেমন কোন বিজনেস গোল থাকে না ।কারণ
তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ বিজনেস
জ্ঞান বা প্রশিক্ষন নেয়ার ইচ্ছা থাকেনা বা ইছা থাকলেও সুযোগ থাকে না ।ফলে তাদের বিজনেসে একটি পরিচ্ছন্ন গোল থাকে না ।
জ্ঞান বা প্রশিক্ষন নেয়ার ইচ্ছা থাকেনা বা ইছা থাকলেও সুযোগ থাকে না ।ফলে তাদের বিজনেসে একটি পরিচ্ছন্ন গোল থাকে না ।
৩।সময়:
এখনো পর্যন্ত ই কর্মাস কে সলিড ক্যারিয়ার হিসেবে খুব কম সংখ্যক মানুষ
ভাবতে পারছে বেশির ভাগই পড়াশোনা বা চাকরির পাশাপাশি আর মেয়েরা সংসার
সাম্লানোর পাশাপাশি ই কর্মাস করছে।(এর
মধ্যেও অনেকে ভাল করছে)।এমতবস্থায় হয়ত কোন কিছুর আংশিক শেখা যেতে পারে কিন্ত ব্যাবসা খুবই দুরহ ব্যাপার।বিজনেস ইজ নট পার্ট টাইম।
মধ্যেও অনেকে ভাল করছে)।এমতবস্থায় হয়ত কোন কিছুর আংশিক শেখা যেতে পারে কিন্ত ব্যাবসা খুবই দুরহ ব্যাপার।বিজনেস ইজ নট পার্ট টাইম।
৪। মার্কেটিং স্ট্রাটেজিঃ
এটার সাথে উপরের তিনটি বিষয়েই সরাসরি সংযোগ রয়েছে।লক্ষ্য না থাকলে যেমন
আপনি কখনই মার্কেটিং কৌশল নির্ধারন করতে পারবেন না ,ঠিক তেমনি বিনিয়োগ
ছাড়া কোন কৌশলই বাস্তবায়ন করতে পারবেন না ,আর এই কৌশল নির্ধারণে আপনার বা
আপনার টিমের দিন রাত এক হয়ে যাবে ।কখন কোথাইয় কিভাবে আপনার ভোক্তা খুজে
পাবেন ,কিভাবে তাদের সন্তষ্টি করবেন বা কিভাবে তাদের রিপিট বায়ারে পরিনত
করবেন ।
৫।একাই একশোঃএই
শব্দটার জন্য আশা করি ,মনে কষ্ট নিবেন না ।অধিকাংশ দেশি উদ্যেক্তার
ক্ষেত্রেই এই মনোভাব দেখা যায়।বিজনেসের ভাষায় এটাকে DIY(DO IT YOURSELF)
বলে।কিন্ত প্রকৃত পক্ষে এই মনোভাব আপনার বিজনেস গ্রোথ কে স্লো করে
ফেলে।আপনি যখন চাকরি করেন তখন একটি সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব বর্তায় আপনার
উপর কিন্ত ব্যবসা তৈরি হয় বা সফল হয় হাজার হাজার দায়িত্বের
সমন্বয়ে।সুতরাং আপনার পক্ষে সব খুটিনাটি বিষয় একাই পালন করে সফল ব্যবসা
করা সম্ভব না ।এই ধরনের মনোভাবের কারনেই একই সময়ে শুরু করা দেশি
উদ্দ্যেক্তাগ্ণ নির্ভর হয়ে পড়ে ফেসবুকের উপর,হয়ত সেল পাই,কিন্ত বিজনেস
গ্রোথ শূন্য। অন্য দিক থেকে একই সময়ে শুরু করা বিদেশি উদ্দ্যেক্তা গণ
ফিচারড হচ্ছে বিজনেস রিভিও পেজের প্রথম পাতায়।
কি করতে হবে?
আজ যেহেতু ইকর্মাস নিয়ে কথা বলছি ইকর্মাসের ছোট কিন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ ক্যাটালগ ম্যানেজমেন্ট নিয়ে
কথা বলব।আছা ধরুন আপনি একজন ছাত্র এবং ইকর্মাস ব্যবসায়ী এই সপ্তাহে আপনার
কিছু প্রোডাক্ট ডেলিভারিআছে ,সোর্সিং ও করতে হবে নতুন কিছু প্রোডাক্ট,
তারপর আপলোড,মার্কেটিং,হয়ত মিড টার্ম পরীক্ষা আছে খুব কাছাকাছি
এমতাবস্থায় কি করবেন?এইগুলো শুনতে খুব একটা ঝামেলা মনে না হলেও সম্পন্ন
করার জন্য বিরাট একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।পণ্য বা মার্কেট
রিসার্চ,পণ্য আপলোড,ইমেজ প্রসেসিং ,বর্ণনা,টাইটেল, এস ই ও এই গুলো সব
গুছিয়ে আপনি একাই করতে পারবেন নাকি কোন রকম লামছাম দিয়ে ফেসবুকে বুস্ট
মারবেন আর বলবেন সেল নাই, বাংলাদেশে ইকর্মাস ব্যবসা হবেনা এই সব?
যারা,চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা সামলান তাদের
উপরের ঝামেলাতো আছেই সাথে ওয়েব ম্যানেজমেন্ট,সোশাল মিডিয়া।আয়ব্যয়,ও
রেগুলার রির্পোট এনালাইসিসতো রয়েছেই।এর সাথে বিষ ফোড়া হয়ে যোগ হয় বসের
ঝাড়ি ,সংসারের নানা ঝামেলা, বাচ্ছার ঠাণ্ডা জ্বর,মোটামুটি একটি আউলা ঝাউলা
অবস্থা।আবার আপনি নন টেকনিক্যাল হলে ক্রসসেল,আপসেল বা কম্পিটিটিভ
ক্যটাগরি, ডাটা বা প্রাইসিংকিভাবে করবেন?এই অবস্থায় বেশির ভাগ
উদ্দ্যেক্তাই সঠিক কাজ সঠিক সময়ে করতে পারে না ।এই সপ্তাহের কাজ আরেক
সপ্তাহে ,পরের টা তারপরে এভাবে তারা পিছেয়ে যায় ।এভাবে পিছিয়ে পিছিয়ে
বিজনেস কমে যায় ।হয়ত এই সুযোগে আপনার প্রতিযোগি ধরে নিচ্ছ আপনার
জায়গাটা।আপনার দেখানো পথে সফল হচ্ছে অন্য কেউ।আর আপনি চলে যাছেন তলানিতে।
আর বর্তমান সময়ে বিজনেস অত্যন্ত
প্রতিযোগিতাপূর্ণ।আপনার অসম্পূর্ণ কাজ অন্য যে কেউ করে ফেলবে হুট করে
।অনেকেই টাকা নিয়ে আইডিয়া খুজে ।তাই যারা ইকর্মাস করছেন আপনার অবস্থান
ধরে রাখার জন্য অবশ্যই নতুন করে ভাবতে হবে ।ব্যবসা একটা মহাসাগরের মত এর
শাখা প্রশাখার শেষ নেই ।সব কাজ আপনি একা করতে পারবেন না ।আপনাকে কোন একজন
এক্সপার্ট বা এজেন্সির সাহায্য নিতে হবে ।
মাঝারি ইকমার্সের ক্ষেত্রে ক্যাটালগ
ম্যানেজমেন্ট বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।এর অনেক গুলো ধাপ আছে সব গুলো
সুচারুভাবে করতে অবশ্যই এক্সটারনাল হেল্প দরকার।তা না হলে আপনার সব সেক্টর
সমানভাবে শক্তিশালী হবে না ।একটা দক্ষ টিম ও এই প্রয়োজন মেটাতে পারে,তবে
তার থেকে কোন এজেন্সি থেকে সেবা গুলো নিতে পারলে হয়ত খরচ অনেক কমে
যাবে।অনেকে হয়ত বলবেন না এখনি নয়,আমার মাসিক মুনাফা বিশ হাজার,আমি কি করে
সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হায়ার করবো।এই কথা মাথায় রেখেই শিরোনাম “ডিম আগে
না মুরগি আগে?”
ডিম খেতে চাইলে মুরগির যত্ন নিতেই হবে ।আর
ইকর্মাস এমন এক মুরগি যা আপনাকে সারা জীবন ডিম দিবে।সঠিক ভাবে যত্ন নিতে
পারলে সময়ে সময়ে এর ডিমের সংখ্যা এত বাড়বে যে আপনি চিন্তাও
করেননি।সুতরাং সিন্ধান্ত আপনার মুরগিকে শক্তিশালি দেখতে চান নাকি ঝিমিয়ে
ঝিমিয়ে বাচাবেন। তবে সব কথার শেষ কথা ব্যবসায়ীরা সময় করে মাঝে মাঝে
অবশ্যই বিজনেস ট্রেনিং ও ইনভেস্টমেন্ট ট্রেনিং করবেন এবংযথেষ্ট পড়াশোনা
করে আগানোর চেষ্টা করা ভালো।
তাহলে সঠিক সময়ে সঠিক সিন্ধান্ত ও
ইনভেস্ট সংগ্রহ করাও সহজ হয়ে যাবে।আপনার জন্য,তখন ব্যবসায়ের প্রয়োজনে
সেবাদান কারি প্রতিষ্ঠান হায়ার বা অন্য যে কোন খরচ কাভার করতে পারবেন।তবে
একবার শুরু করে টাকার অভাবে থেমে গেলে বা স্লো হয়ে গেলে এটা নিশ্চিত যে
আপনার উপর দিয়ে অন্য কেউ হেটে চলে যাবে।
সূত্র: অনলাইন
0 Comments