নতুন কর্মক্ষেত্র হোক আপনার জন্য চ্যালেঞ্জ…

নতুন কর্মক্ষেত্র ববাবরই একটি চ্যালেঞ্জ। নতুন একটি পরিবেশে নতুন করে সব কিছু শুরু করা বেশ কঠিন কাজ। অনেকেই এই সময়ে কিছু ভুল করে থাকেন যেটা পরবর্তী চাকরি জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। জব এক্সপার্টদের মতে নতুন চাকরির প্রথম ৯০ দিন অনেক বেশি জরুরি। এই ৯০ দিনেই নির্ধারিত হয়ে যায় আপনার উন্নতি কিংবা অবনতি। কিন্তু অনেকেই এই প্রথম ৩ মাসের গুরুত্বটা ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না। ঘাবড়ে গিয়ে অনেকে ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন।
প্রথম ইম্প্রেশন
মনে রাখবেন আপনি প্রথমবার যে কাজটি করবেন সেটাই আপনার পরিচয় বহন করবে। নতুন চাকরিতে নতুন পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে গিয়ে এমন কোনো কিছু করে ফেলবেন না যাতে আপনার ওপর আপনার বস ও কলিগের একটি বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হয়। কারণ এই বিরূপ ধারণা পরবর্তীতে আদৌ বদলাবে কিনা বলা যায় না।
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন না
অনেক জব এক্সপার্টের অভিমত এই যে নতুন চাকরির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ক্ষতিকর। অনেকেই নতুন চাকরিক্ষেত্রে গিয়ে নিজে কাজ করতে যান বা কারো কাছে সাহায্যের জন্য যান না এই ভেবে যে কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু ব্যাপারটি ঠিক তা নয়। আপনি যদি সাহায্য চান তাহলে আপনার একই সঙ্গে দুটি কাজ হবে। প্রথমত, আপনি নিজেকে একজন নতুন মানুষ হিসেবে পরিচিতি দিতে পারবেন এবং দ্বিতীয়ত, আপনি কলিগদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক স্থাপনের প্রথম ধাপ পার করতে পারবেন।
কলিগদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক স্থাপন করুন
নতুন কর্মক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে যারা কাজ করবেন তাদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করুন। তবে এটা অবশ্যই একদিনে করতে যাবেন না। ধীরে ধীরে তাদের মনোভাব বুঝে তবেই যাবেন। যদি আপনার কলিগ আপনার মধ্যে একজন বন্ধু খুঁজে পান তাহলে আপনার নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যাই হবে না।
নিজে থেকে কঠিন কোনো কাজে যাবেন না
অনেকে এই ভুলটি করে থাকেন নতুন চাকরির ক্ষেত্রে। আপনি নতুন চাকরিতে ঢুকে প্রথমেই কঠিন কোনো কাজ করে ভাববেন না যে আপনার উন্নতি অবশ্যম্ভাবী। এর উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আপনার কলিগরা আপনাকে প্রথম থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিতে পারেন। যদি আপনার বস আপনাকে কঠিন কোনো কাজ দিলে তবেই তা করুন না হলে নয়।
সত্য কথা বলতে পিছপা হবেন না
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সব কাজের জন্য চাকরিতে যোগদান দেয়া হয় তা ব্যতিত আরো অন্যান্য আরো কাজ করতে হয়। যদি আপনার কাজের চুক্তিতে তা লেখা না থাকে তবে আপনি এর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন। নতুন চাকরির জন্য অনেকে এই কাজটি করেন না। চিন্তা করে দেখুন যেহেতু আপনাকে চাকরিতে রাখা হয়েছে সেহেতু আপনার বসের অবশ্যই আপনার কাজের প্রতি আগ্রহ আছে। আপনাকে আপনার অধিকার নিয়ে কথা বলা জানতে হবে। নতুবা আপনার নিশ্চুপ মনোভাবের জন্য পরবর্তীতে আপনাকে দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে।

Post a Comment

0 Comments