ক্ষতিকর মতামত আর ব্যক্তিগত তথ্যের কারসাজি যুক্তরাজ্যের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। যুক্তরাজ্যে উচ্চপর্যায়ের এক তদন্তে বিষয়টি উঠে এসেছে। ফেসবুকের কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির সূত্র ধরে অসত্য তথ্য ও ভুয়া খবর বিষয়ে তদন্ত করছে যুক্তরাজ্যের দ্য ডিজিটাল, কালচার, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্ট (ডিসিএমএস) কমিটি। তাদের প্রথম প্রতিবেদন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে শক্ত নিয়মকানুনের আওতায় আনার প্রস্তাব দেবে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ছাড়া নির্বাচন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব থাকছে।
প্রস্তাবে সতর্ক করা হয়েছে—মানুষের ভয় ও কুসংস্কারগুলোকে ক্রমাগত লক্ষ্য করে তাদের ভোটের পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলার চেষ্টা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।
কাল রোববার ওই কমিটির প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হবে। গতকাল শুক্রবার ব্রেক্সিট প্রচার গ্রুপ ভোট লিভের পরিচালক ডমিনিক কামিংস তাঁর ব্লগে ওই প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি প্রকাশ করেছেন।
ওই কমিটির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—সামাজিক যোগাযোগের সাইটে কোনো ক্ষতিকর কনটেন্ট থাকলে তার দায় ওই প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে।
কমিটি মনে করে, সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো শুধু প্ল্যাটফর্ম নয়। সাধারণত এসব সাইট নিজেদের প্ল্যাটফর্ম বলে দাবি করেন। তাদের প্ল্যাটফর্মে যেসব কনটেন্ট পোস্ট করা হয়, তার দায়িত্ব নিতে চায় না। তাদের সাইট আসলে অ্যালগরিদম পরিবর্তন ও মানুষের হস্তক্ষেপে সে অবস্থান ক্রমাগত পরিবর্তন করতে থাকে।
মানুষ যা বেশি দেখে বা যা নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তার কদর থাকে বেশি। কারণ, এটাই তাদের ব্যবসায় মডেল এবং বেড়ে ওঠার কৌশল। এ মডেলে তারা ব্যাপক লাভ করে।
ওই কমিটির প্রস্তাব হচ্ছে—প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর নতুন একটি বিভাগ তৈরি করতে হবে। এটি প্ল্যাটফর্ম বা প্রকাশক না হয়ে এর মাঝামাঝি কিছু হতে পারে। তাদের প্ল্যাটফর্মে ক্ষতিকর কিছু থাকলে অবশ্যই পরিষ্কার আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকতে হবে।
ওই কমিটির পক্ষ থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য নিয়ম পরিবর্তন করার কথা বলা হয়েছে। ডিজিটাল যুগের উপযোগী নিয়মনীতি রাখার প্রস্তাব রাখতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কোনো ক্ষতিকর ব্যক্তি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চাইলে এর জন্য ওই মিডিয়া দায়ী থাকবে। নির্বাচনী প্রতারণার জন্য জরিমানা বাড়াতে হবে।
ওই কমিটির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কর আদায় করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অসত্য তথ্য প্রতিরোধে কাজ করার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থায়ন করা। এ ছাড়া সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলোকে নিয়মিত অডিট করতে হবে।
যুক্তরাজ্যের সংসদীয় কমিটির ওই প্রস্তাবের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে ফেসবুকের ওপর। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তথ্য কেলেঙ্কারির সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেসবুক।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছেন, পুরো তদন্তের সময় তথ্য পেতে ফেসবুক আমাদের প্রচেষ্টায় বাধা দিয়েছে। তারা ভেবেছে, যদি তথ্য না দেয়, তবে এ সমস্যা থাকবে না। যখন কোনো কিছু প্রকাশ করা হয়েছে, তখনই কেবল প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। ফেসবুকের কাছে যে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তার পরিপূর্ণ উত্তর দিতে অনিচ্ছুক ও অক্ষম সাক্ষীকে হাজির করা হয়েছে।
ওই কমিটি সাক্ষীর জন্য কয়েকবার ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে তলব করেছিল।
কমিটির প্রতিবেদনে তদন্ত করে পাওয়া ভুয়া খবর, অসত্য তথ্য ও নির্বাচনী হস্তক্ষেপের প্রমাণ তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া কমিটির কাছে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তথ্য ফাঁসকারী ক্রিস্টোফার উইলি, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্ডার নিক্সসহ ৬১ জন সাক্ষী দিয়েছেন।
ওই কমিটি বলেছে, হ্যাকিং, ভুয়া তথ্যসহ ভোটারদের ওপর চাপ সৃষ্টির কিছু প্রমাণও তারা পেয়েছে। এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে বলেছেন। এ বছরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হতে পারে।
এ প্রতিবেদন নিয়ে ফেসবুক ও টুইটারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি কী?
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগিতার জন্য বেশি পরিচিত। ট্রাম্পের বিজয়ে এর ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, ফেসবুক থেকে সংগৃহীত কোনো তথ্য ট্রাম্পের প্রচারণার তারা ব্যবহার করেনি।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য বেহাত হওয়ার ঘটনাটি সামনে নিয়ে আসেন যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সাবেক কর্মী ক্রিস্টোফার উইলি। তিনিই প্রথম জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবং যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদ) প্রশ্নে গণভোটে ভূমিকা ছিল তাঁর সাবেক কর্মস্থলের। এ ব্যাপারে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাকে সহযোগিতা করেছিলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আলেকসান্দ্র কোগান। তিনি বিশেষ অ্যাপ তৈরি করে ফেসবুকের প্ল্যাটফর্মে ছেড়েছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি ব্যবহারকারী
এ ছাড়া নির্বাচন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব থাকছে।
প্রস্তাবে সতর্ক করা হয়েছে—মানুষের ভয় ও কুসংস্কারগুলোকে ক্রমাগত লক্ষ্য করে তাদের ভোটের পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলার চেষ্টা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।
কাল রোববার ওই কমিটির প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হবে। গতকাল শুক্রবার ব্রেক্সিট প্রচার গ্রুপ ভোট লিভের পরিচালক ডমিনিক কামিংস তাঁর ব্লগে ওই প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি প্রকাশ করেছেন।
ওই কমিটির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—সামাজিক যোগাযোগের সাইটে কোনো ক্ষতিকর কনটেন্ট থাকলে তার দায় ওই প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে।
কমিটি মনে করে, সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো শুধু প্ল্যাটফর্ম নয়। সাধারণত এসব সাইট নিজেদের প্ল্যাটফর্ম বলে দাবি করেন। তাদের প্ল্যাটফর্মে যেসব কনটেন্ট পোস্ট করা হয়, তার দায়িত্ব নিতে চায় না। তাদের সাইট আসলে অ্যালগরিদম পরিবর্তন ও মানুষের হস্তক্ষেপে সে অবস্থান ক্রমাগত পরিবর্তন করতে থাকে।
মানুষ যা বেশি দেখে বা যা নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তার কদর থাকে বেশি। কারণ, এটাই তাদের ব্যবসায় মডেল এবং বেড়ে ওঠার কৌশল। এ মডেলে তারা ব্যাপক লাভ করে।
ওই কমিটির প্রস্তাব হচ্ছে—প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর নতুন একটি বিভাগ তৈরি করতে হবে। এটি প্ল্যাটফর্ম বা প্রকাশক না হয়ে এর মাঝামাঝি কিছু হতে পারে। তাদের প্ল্যাটফর্মে ক্ষতিকর কিছু থাকলে অবশ্যই পরিষ্কার আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকতে হবে।
ওই কমিটির পক্ষ থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য নিয়ম পরিবর্তন করার কথা বলা হয়েছে। ডিজিটাল যুগের উপযোগী নিয়মনীতি রাখার প্রস্তাব রাখতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কোনো ক্ষতিকর ব্যক্তি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চাইলে এর জন্য ওই মিডিয়া দায়ী থাকবে। নির্বাচনী প্রতারণার জন্য জরিমানা বাড়াতে হবে।
ওই কমিটির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কর আদায় করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অসত্য তথ্য প্রতিরোধে কাজ করার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থায়ন করা। এ ছাড়া সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলোকে নিয়মিত অডিট করতে হবে।
যুক্তরাজ্যের সংসদীয় কমিটির ওই প্রস্তাবের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে ফেসবুকের ওপর। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তথ্য কেলেঙ্কারির সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেসবুক।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছেন, পুরো তদন্তের সময় তথ্য পেতে ফেসবুক আমাদের প্রচেষ্টায় বাধা দিয়েছে। তারা ভেবেছে, যদি তথ্য না দেয়, তবে এ সমস্যা থাকবে না। যখন কোনো কিছু প্রকাশ করা হয়েছে, তখনই কেবল প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। ফেসবুকের কাছে যে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তার পরিপূর্ণ উত্তর দিতে অনিচ্ছুক ও অক্ষম সাক্ষীকে হাজির করা হয়েছে।
ওই কমিটি সাক্ষীর জন্য কয়েকবার ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে তলব করেছিল।
কমিটির প্রতিবেদনে তদন্ত করে পাওয়া ভুয়া খবর, অসত্য তথ্য ও নির্বাচনী হস্তক্ষেপের প্রমাণ তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া কমিটির কাছে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তথ্য ফাঁসকারী ক্রিস্টোফার উইলি, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্ডার নিক্সসহ ৬১ জন সাক্ষী দিয়েছেন।
ওই কমিটি বলেছে, হ্যাকিং, ভুয়া তথ্যসহ ভোটারদের ওপর চাপ সৃষ্টির কিছু প্রমাণও তারা পেয়েছে। এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে বলেছেন। এ বছরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হতে পারে।
এ প্রতিবেদন নিয়ে ফেসবুক ও টুইটারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি কী?
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগিতার জন্য বেশি পরিচিত। ট্রাম্পের বিজয়ে এর ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, ফেসবুক থেকে সংগৃহীত কোনো তথ্য ট্রাম্পের প্রচারণার তারা ব্যবহার করেনি।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য বেহাত হওয়ার ঘটনাটি সামনে নিয়ে আসেন যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সাবেক কর্মী ক্রিস্টোফার উইলি। তিনিই প্রথম জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবং যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদ) প্রশ্নে গণভোটে ভূমিকা ছিল তাঁর সাবেক কর্মস্থলের। এ ব্যাপারে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাকে সহযোগিতা করেছিলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আলেকসান্দ্র কোগান। তিনি বিশেষ অ্যাপ তৈরি করে ফেসবুকের প্ল্যাটফর্মে ছেড়েছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি ব্যবহারকারী
0 Comments