অনলাইনে ব্যবসা

দরকার সরকারি পৃষ্ঠপোশকতা   জমে উঠেছে অনলাইনে ব্যবসা। বিক্রেতারা সাজিয়ে বসেছেন তাদের বাহারি পণ্য । তাদের রয়েছে নানান ডিজাইনের শাড়ি, সেলোয়ার কামিজ, জুতা, ব্যাগ, গহনা এবং কসমেটিক্স। ছেলেদের নানা পণ্য ও রয়েছে এই অনলাইন বাজারে। নামে বেনামে কেবল মাত্র একটি পেইজ খুলে নিয়ে হাজার হাজার ডলার কামিয়ে নিচ্ছে সুবিধা লোভীরা। ঠকছে ক্রেতারা। বিশেষ করে মহিলারা। অনেক পণ্যেরই তারা দাম তুলনা না করেই পছন্দ মত অর্ডার করছে। পেইজ গুলো যে সুবিধাটি দিচ্ছে তা হল ক্রেতাদেরকে যাতায়াতের ধকল টা পোহাতে হচ্ছে না। অবশ্য পণ্য বাড়িতে পৌছে দিতে একটা ভাল অংকের টাকা তারা মূল্যের সাথে যোগ করে নিচ্ছে।এদের মধ্যে অনেকেই সুন্দর প্যাকেটে পণ্য বাড়িতে পৌছে দিয়ে যায় ঠিকই কিন্তু সেই প্যাকেটে থাকে কোনো সমস্যাসম্বলিত পণ্য যেটা কিনা ক্রেতা আর চাইলেও বদল করতে পারে না বা ফেরত দিতে পারে না। এভাবে তার টাকা টাই নষ্ট হয়। এই সব পণ্যের কোনো বাজার মূল্য নেই যেটা সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পণ্যগুলো থেকে কোনো ভ্যাট ও সরকার পায় না। পণ্যগুলো আসে লাগেসে করে বিদেশ থেকে ব্যক্তি মালিকানায় অথচ এদেশে এসে সেগুলো দেশের টাকা হাতিয়ে নেয় অনায়াসে। এই ক্ষেত্রে সরকারের কি কিছুই করার নেই। নিশ্চই আছে। একটু সচেতন হলেই সব নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব। এই অনলাইন বেচা কেনায় হাতে গোনা কয়েকটি পোর্টাল মাত্র আইন মেনে চলছে। বাদ বাকী সবই সরকারকে ফাঁকি দিচ্ছে। এ কথা অস্বিকার করা যায় না যে, অনলাইনে ব্যবসা দেশের অনেকের মধ্যে স্বনির্ভরতা এনে দিয়েছে। কিন্তু একথাও মানতে হবে যে যে পাওয়াটির মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় ক্ষতি এবং নাগরিক দ্বায়িত্ব স্খলনের অপবাদ সেটা স্বনির্ভরতা নয় সেটা স্বেচ্ছাচারিতা। আর এই ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা কখনো ভাল ফল বয়ে আনতে পারে না। আমাদের কে এখনই সচেতন হতে হবে যাতে বেশি দেরি হয়ে না যায়। এখনই আমাদের বদ অভ্যাসের দরজা বন্ধ করে ফেলতে হবে।নইলে সেই দরজা দিয়ে অপশক্তি প্রবেশ করবে। ভারতীয় শাড়ি, পোশাকে সয়লাব এই পেইজ গুলো। এসবের কারনে আমাদের দেশীয় পণ্য তাদের সঠিক অবস্থান হারাছে। এ কথা বলা হচ্ছে না যে ভারতীয় পণ্য অনলাইনে এই দেশে বিক্রি করা যাবে না। ভেবে দেখতে হবে, আমাদের দেশে এমন অনেক দোকানী আছে যারা অনলাইন কি জানে না। তাদের কাছেও ভারতীয় পন্য আছে।আছে বদেশী আরো পণ্য।তারা সরকারের রীতি মেনে এই দেশে সেগুলো নিয়ে এসে দোকানে বিক্রি করছে। তাহলে তারা কেন তাদের ক্রেতা হারাবে। তাদের দোষটি কোথায়? যদি যারা অনলাইনে বিক্রি করছে তারাও সরকারের আইনের আওতায় আসে তাহলে বেপার টা সমতায় আসে।তাহলে বলবার কিছু থাকে না। এবং এমনটিই হউয়া উচিত। আমরা চাই এই দেশে সবাই ভাল থাকুক।ক্রেতার যেমন অধিকার আছে নতুন ,সুন্দর ও ভাল মানের পণ্য পাবার তেমনি ঝক্কি ও ঝুকি না নিয়ে পণ্য বিক্রি করবার অধিকার ক্রেতারও রয়েছে। একই সাথে সরকারেরও অধিকার আছে দেশের স্বার্থ অন্ধের মত বিবেচনা করবার...... নাগরিককে সুনাগরিক হবার জন্যে অনুপ্রেরণা দেবার...

Post a Comment

0 Comments