ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় কী?

 
 
 মো. আলমগীর হোসেন: বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দেওয়া তথ্য মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ লক্ষ ৫৯ হাজার। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইন্টারনেটের কল্যাণে মানুষের জীবন অনেক সহজ ও গতিশীল হচ্ছে একথা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু প্রতিটি বিষয়ের ভালো ও খারাপ দুটি দিকই রয়েছে। ইন্টারনেটের খারাপ দিক হলো এর অপব্যবহার।
 
তরুণ সমাজ তাদের মূল্যবান সময় অপচয় করে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। কেউ যদি এগুলোতে অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এবং একারণে যদি তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হয়, তখনই বাঁধে সমস্যা। এর ফলে ভুক্তভোগীর পাশাপাশি সমস্যায় পড়তে হয় বন্ধু, পরিবার এবং সমাজকে। অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার অনেকটা মাদকাসক্তির মতো। এতে করে স্থূলতা, ঘুম কমে যাওয়া, সৃজনশীল চিন্তা-ভাবনায় বাধা, মানসিক অস্থিরতাসহ নানা সমস্যা দেখা যায়। বাংলা সাহিত্যের একজন কবি বলেছেন,‘বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ’।আজকাল বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডায় বসলে দেখা যায়, যে যার মতো স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বাস বা ট্রেনে চলার সময় অনেককেই দেখা যায় ফেসবুকিং বা ব্রাউজিং করে দীর্ঘ সময় পার করে। অথচ এই দীর্ঘ সময়ে একটা ভালো বই পড়া যেতে পারে।
 
ইন্টারনেট আসক্তি থেকে রেহাই দিতে তরুণদের সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া অভিভাবকরা সন্তানদের কাছে ইন্টারনেটের ভালো ও ক্ষতিকর দুটি দিক নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। শুধু অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব শেষ না করে সন্তানদের সময় দিতে হবে। এতে তরুণ-তরুণীরা সচেতন হবে। সর্বোপরি সমাজ, পরিবার ব্যক্তি তথা সবার সচেতনতাই পারে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে।
 
লেখক : শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Post a Comment

0 Comments