ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে আগে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে।
ঢাকায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) মিরপুর, ঢাকা মেট্রো-১,২,৩ সার্কেল রয়েছে। এছাড়া প্রত্যেকটি বিভাগের জেলা থেকেও আপনি করতে পারবেন।
যেভাবে আবেদন করবেন
গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নির্ধারিত ফরমপূরণ করে আবেদন করতে হবে।
গ্রাহককে তার স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা (প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ) বিআরটিএর যে সার্কেলের আওতাভুক্ত তাকে সেই সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।
একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তারের মাধ্যমে মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বয়স ন্যূনতম ২০ বছর এবং অপেশাদারের জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।
যেসব কাগজপত্র লাগবে
১. বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাংক শাখায় টাকা জমার রশিদ।
২. ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৩. স্থায়ী/ অস্থায়ী ঠিকানার প্রমাণস্বরূপ বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি।
৪. ৩ কপি রঙিন স্টাম্প সাইজের ছবি ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
ফি কত লাগবে
(ক) ০১ (এক) ক্যাটাগরি-৩৪৫/-টাকা (শুধু মোটরসাইকেল অথবা শুধু হালকা মোটরযান অর্থাৎ যে কোনো একধরনের মোটরযান)
(খ) ০২ (দুই) ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা (মোটরসাইকেল এবং হালকা মোটরযান একসঙ্গে অর্থাৎ মোটরসাইকেলের সঙ্গে যে কোনো একধরনের মোটরযান)।
এরপর আপনাকে সার্কেল অফিস কর্তৃপক্ষ একটি শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে যা দিয়ে আবেদনকারী ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন।
শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর আপনাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। এ সময় প্রার্থীকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সঙ্গে আনতে হবে।
এসব পরীক্ষায় পাস করলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
বিস্তারিত জানতে (www.brta.gov.bd) এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। পরবর্তী সপ্তাহে আসছে কীভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন।
0 Comments