অফিসে এসে কেউ কেউ বাড়ির কাজ নিয়ে চিন্তিত থাকেন। আবার কেউ কেউ এক অফিস ছেড়ে অন্য অফিসে যাওয়ার অর্থাৎ চাকরি বদলের কথা ভাবতে থাকেন। এসব করে একদিকে যেমন অফিসের কাজে ফাঁকি দেয়া হয় অন্যদিকে নিজের অজান্তেই হয়তো অন্যের কাছে নিজের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, অফিসে নিজের স্বার্থেই কিছু কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিচে যেসব কাজ বা ভাবনা নিয়েই আলোচনা করা হলো :
নিখুঁত পরিপূর্ণতা প্রদান :
অনেকেই সব কাজ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে চান। এ ক্ষেত্রে শুধু কাজের ওপর জোর দেওয়া হয়। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে মোটেও চিন্তা আসে না। অফিসে দিনে যা ঘটে তার ৮০ শতাংশের পেছনে কাজ করে ২০ শতাংশ কারণ। তাই দিন শেষে ভালো কিছু পেতে চাইলে সব বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। তাই কল্পনাপ্রসূত পরিপূর্ণতার কথা চিন্তা না করে বাস্তবতা বুঝে নিন।
চাকরি পাল্টানোর চিন্তা :
কর্মীদের বড় একটি অংশ প্রতিনিয়ত বর্তমান চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবতে থাকে। এর পেছনে যথেষ্ট কারণ থাকলেও এ রকম চিন্তাভাবনা পেরেশান করে তোলে। চাকরি বদলানোর চিন্তা থাকলে ধীরেসুস্থে চেষ্টা চালাতে থাকুন। এ নিয়ে যদি গসিপ আর চিন্তায় মেতে ওঠেন তাহলে প্রাণশক্তির পুরোটাই যাবে।
অসুস্থতা নিয়ে কাজে আসা :
অসুস্থ থেকেও ছুটি না নিয়ে ডিউটি পালনের মাধ্যমে কৃতিত্ব নিতে চাইছেন। কিন্তু এ অবস্থায় অফিসে এসে আপনি কিন্তু সহকর্মীদের বিরাগভাজন হয়ে গেছেন। কেউই চান না, অফিসে এসে তাঁদের মাঝেও ভাইরাস ছড়িয়ে দেন। কাজেই ছুটি নিয়ে ফেলুন। বেশি ভাববেন না।
ছুটির বিষয়ে দুশ্চিন্তা :
এটা অসুস্থ থাকাকালীন ছুটি নেওয়ার মতোই। ছুটি নিয়ে বিশ্রাম করতে দোষ নেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা নিরর্থক। কারণ কেউ আপনার চাকরি দখল করে নিচ্ছে না। আপনাকে ছাড়া সব কাজ ঠিকমতোই চলবে। বরং ছুটি থেকে ফিরে আপনি আরো বেশি উৎপাদনশীল হয়ে উঠবেন।
বেশি ই-মেইল দেখা :
জরুরি হলে ই-মেইল দেখে নিতে পারেন। কিন্তু ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার গবেষণায় বলা হয়, যাঁরা দিনে তিনবারের বেশি ই-মেইল চেক করেন না তাঁরা অন্যদের চেয়ে কম মানসিক চাপে ভোগেন।
প্রতিশোধপরায়ণতা :
আপনি একটি পেশাদার প্রতিষ্ঠানে আছেন। এটা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। সহকর্মী বা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হতেই পারে। তাই বলে প্রতিশোধ নেওয়ার কিছু নেই। বরং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসুন।
অফিসে বসেই বাড়ির কাজ করার চেষ্টা :
বাড়িতে বসেই কি অফিসের কাজে কম্পিউটারে বসতে হয়? অফিস শেষে কোনো ক্লায়েন্টের সঙ্গে দেখা করতে হয়? যদি এদের জবাব ‘হ্যাঁ’ হয় তাহলে অফিসে বসেই আপনি অনলাইনে শপিং করে নিতে পারেন। একটু লুকোচুরি করে এটা সামলে নেওয়া যায়। অযথাই ব্যাপক দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই।
কম প্রশংসা পেলেন, তাই হতাশ :
সব কর্মীই এমন স্বপ্ন দেখেন যে বস তাঁর পিঠ চাপড়ে কাজের দারুণ প্রশংসা করছেন। এমনটা সহসা মেলে না। ভালো কাজেও প্রশংসা মেলে না। এতে বহু কর্মী হতাশ হয়ে পড়েন। তাঁরা মন খারাপ নিয়ে কাজ করতে থাকেন। অথচ এ নিয়ে দুশ্চিন্তা পুরোটাই সময়ের অপচয়। এর চেয়ে বরং কর্মীদের সঙ্গে স্বাভাবিক কথাবার্তা বলুন। অন্যান্য সময়ের মতোই কাজ করতে থাকুন।
- অনলাইন
0 Comments