মানবসমাজকে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় সচেতন হওয়া উচিত। প্রতিশ্রুতি ইসলামের
অনুপম আদর্শ। এ আদর্শ অবলম্বন মোমিনদের ঈমানি দাবি। কোনো মোমিন স্বীয় জীবনে
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে মানবজাতির সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে না। প্রতিশ্রুতি
পালনই মোমিনদের আদর্শ হতে হবে। প্রতিশ্রুতি রক্ষা একটি মহৎ গুণ। এ গুণে
গুণান্বিত ব্যক্তি সমাজের কাছে প্রশংসার পাত্র হিসেবে উপস্থাপিত হয়।
কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিশ্রুতি পালনকারীদের ব্যাপারে অনেক সুসংবাদ
দেওয়া হয়েছে। কোরআনে প্রতিশ্রুতি রক্ষাকে মুত্তাকি বান্দার গুণ হিসেবে
ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি প্রতিশ্রুতি পালনকে স্বয়ং আল্লাহর গুণ হিসেবেও
উল্লেখ করা হয়েছে। এর দ্বারা প্রমাণ হলো, আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের
পূর্বশর্ত হচ্ছে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা। আর ওয়াদা পালন শুধু ওয়াদাই নয়, বরং
ফরজের মতো জবাবদিহি-তুল্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ
তায়ালা বলেন ‘প্রতিশ্রুতি পালন কর। কারণ প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব
করা হবে।’ (সূরা বনি ইসরাইল : ৩৪)।
আরও বলেন ‘নিজ প্রতিজ্ঞা পালনে আল্লাহ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর কে আছে?’ (সূরা তওবা : ১১১)।
ওয়াদা পালনে নবীজি (সা.) ছিলেন বদ্ধপরিকর। তিনি ধৈর্য-সহকারে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করাকে পছন্দ করতেন। যদিও তা দীর্ঘ সময়ের জন্য হয়। অধৈর্য হয়ে রাসুল (সা.) কখনোই ওয়াদা ভঙ্গ করেননি। তিনি দিনের পর দিন অপেক্ষা করে এবং রাতের পর রাত জাগ্রত থেকে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। দুনিয়ার কোনো কষ্ট তাঁর ওয়াদা পালনে বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। অধৈর্য শব্দটি নবীজির কাছে শতভাগ পরাজিত হয়েছে। ফলে ধৈর্য বিশেষণটিই নবীজি (সা.) এর কাছে শ্রেষ্ঠ গুণে রূপায়িত হয়েছে। এভাবে আমরা নবীজি (সা.) এর উত্তম আদর্শ থেকে ধৈর্যের শিক্ষাটি পাই। হাদিসে আছেÑ হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবু হাসমা (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) এর নবুয়তপ্রাপ্তির আগে আমি তাঁর কাছ থেকে কিছু জিনিস খরিদ করেছিলাম, যার কিছু মূল্য পরিশোধ আমার ওপর বাকি রয়ে গিয়েছিল। আমি তাঁকে কথা দিলাম, তা এই স্থানে নিয়ে আসছি। কিন্তু আমি সেই প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গেলাম। তিন দিন পর আমার স্মরণ হলো। এসে দেখলাম তিনি ওই স্থানেই আছেন। অতঃপর নবীজি শুধু এতটুকুই বললেন‘তু মি আমাকে তো কষ্টে ফেলেছিলে, আমি তিন দিন ধরে এই স্থানে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।’ (আবু দাউদ : ৪৯৯৮)।
লেখক : মাওলানা দৌলত আলী খান , শিক্ষক, নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা
আরও বলেন ‘নিজ প্রতিজ্ঞা পালনে আল্লাহ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর কে আছে?’ (সূরা তওবা : ১১১)।
ওয়াদা পালনে নবীজি (সা.) ছিলেন বদ্ধপরিকর। তিনি ধৈর্য-সহকারে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করাকে পছন্দ করতেন। যদিও তা দীর্ঘ সময়ের জন্য হয়। অধৈর্য হয়ে রাসুল (সা.) কখনোই ওয়াদা ভঙ্গ করেননি। তিনি দিনের পর দিন অপেক্ষা করে এবং রাতের পর রাত জাগ্রত থেকে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। দুনিয়ার কোনো কষ্ট তাঁর ওয়াদা পালনে বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। অধৈর্য শব্দটি নবীজির কাছে শতভাগ পরাজিত হয়েছে। ফলে ধৈর্য বিশেষণটিই নবীজি (সা.) এর কাছে শ্রেষ্ঠ গুণে রূপায়িত হয়েছে। এভাবে আমরা নবীজি (সা.) এর উত্তম আদর্শ থেকে ধৈর্যের শিক্ষাটি পাই। হাদিসে আছেÑ হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবু হাসমা (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) এর নবুয়তপ্রাপ্তির আগে আমি তাঁর কাছ থেকে কিছু জিনিস খরিদ করেছিলাম, যার কিছু মূল্য পরিশোধ আমার ওপর বাকি রয়ে গিয়েছিল। আমি তাঁকে কথা দিলাম, তা এই স্থানে নিয়ে আসছি। কিন্তু আমি সেই প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গেলাম। তিন দিন পর আমার স্মরণ হলো। এসে দেখলাম তিনি ওই স্থানেই আছেন। অতঃপর নবীজি শুধু এতটুকুই বললেন‘তু মি আমাকে তো কষ্টে ফেলেছিলে, আমি তিন দিন ধরে এই স্থানে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।’ (আবু দাউদ : ৪৯৯৮)।
লেখক : মাওলানা দৌলত আলী খান , শিক্ষক, নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা
0 Comments