রাসূল (সা.) এর হাদীসে
এসেছে, ইসলামে সবচেয়ে উত্তম প্রতিদানের কাজ হলো অভাবীকে সাহায্য করা,
মুমিনের অন্তরকে খুশি করা, ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো এবং নিপীড়িতকে সাহায্য করা।
সুতরাং আমাদের উচিত আমাদের চারপাশের অভাবগ্রস্ত ভাই-বোনদের সাহায্য করার জন্য অগ্রসর হওয়া। এখানে অভাবীদের সাহায্য করতে সহজ ১০টি উপায় উল্লেখ করা হলো।
১. মানসিক সমর্থন
সহানুভূতিহীন কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ সাহায্য থেকেও অভাবগ্রস্তদের জন্য বড় একটি সাহায্য সহানুভূতিপূর্ণ মানসিক সমর্থন। অভাবীর অভাব ও দুর্দশায় তার পাশে দাঁড়ানো, তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান অভাবীর কাছে তার অভাবকে লঘু করে দেয়। সে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মানসিক শক্তি পায়।
২. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যোগাযোগের সাহায্যে চারপাশের দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে পারি। ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মে আমরা দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে সংযোগ তৈরি করে দিতে পারি।
৩. ব্যক্তিগত অর্থসাহায্য
ব্যক্তিগতভাবে অর্থসাহায্যের মাধ্যমে আমরা আমাদের চারপাশের অভাবী ভাইবোনের পাশে দাঁড়াতে পারি। তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা তাদের অর্থ সহায়তা দিতে পারি।
৪. ফান্ড তৈরি
দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য আমরা সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে ফান্ড তথা তহবিল তৈরি করতে পারি। সম্মিলিত এ তহবিল থেকে সমাজের সেসকল দারিদ্র্যপীড়িত মানুষদের সাহায্য করতে পারি।
৫. খাবার সামগ্রী দিয়ে সাহায্য
দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় চাল, আটা, তেল, লবণ ইত্যাদি বিভিন্ন খাবার সামগ্রী দিয়ে আমরা দরিদ্র ও অভাবীদের সাহায্য করতে পারি।
আবার অনেক সময় আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত খাবার বেঁচে যায়। এ খাবারগুলো ফেলে না দিয়ে তা দরিদ্র-অভাবীদের মাঝেও বিলিয়ে দেওয়া যায়।
৬. অব্যবহৃত সামগ্রী দিয়ে সাহায্য
অনেক সময় আমাদের বাড়ীতে অনেক কাপড়, আসবাবপত্র বা অন্যান্য সামগ্রী অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। অব্যবহৃত এ বস্তুগুলো দরিদ্র, অভাবীদের দিয়ে আমরা তাদের দুর্দশায় পাশে দাঁড়াতে পারি।
৭. স্বেচ্ছাসেবা
আশপাশের অভাবগ্রস্তদের খোঁজখবর রাখার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি। তাদের অসুস্থতা ও অন্যকোনো প্রয়োজনে আমরা তখন তাদের সেবাদান করতে পারি।
৮. পুরাতন ব্যবহার সামগ্রী দিয়ে সাহায্য
অনেক সময় পুরাতন আসবাবপত্র বদলে নতুন আসবাবপত্র কেনার সময় পুরাতনগুলো আমরা ফেলে দেই। এভাবে পুরাতন আসবাব ফেলে না দিয়ে আমরা দরিদ্রদের দান করে তাদের সাহায্য করতে পারি।
৯. অবস্থার অনুধাবন ও সহানুভূতি
দরিদ্র ও অভাবীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো তাদের অবস্থা অনুধাবন এবং তাদের প্রতি সহানুভূতি। অবজ্ঞা করে কিছু দান করার থেকে যদি কেউ কিছু দান না করেও তার প্রতি সম্মান ও সহানুভূতিপূর্ণ আচরণ করে, এতে বরং দরিদ্র ব্যক্তিটির প্রতি অধিক সহায়তা করা হবে।
১০. শিক্ষা
দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের শিক্ষার ব্যবস্থা করার মাধ্যমেও আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি। শিক্ষার সুযোগ যদি তারা গ্রহণ করতে পারে, তবে তারা তাদের অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টার সুযোগ পেতে পারে।
সূত্র: অনলাইন
0 Comments