কোম্পানি কী ,কয় প্রকার?

কোম্পানি হচ্ছে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গঠিত একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। এ ধরনের সত্তার মূল উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন, তা নিজেদের মধ্যে বন্টন করা হোক বা না হোক।
বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের আলোকে নানা ধরনের কোম্পানি হতে পারে। তবে পুঁজিবাজারের সঙ্গে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ছাড়া অন্যগুলোর তেমন সম্পর্ক নেই। তাছাড়া যৌথমূলধনী কোম্পানি ও ফার্মস পরিদপ্তরে (আরজেএসসি) নিবন্ধিত ৯০ ভাগেরও বেশি কোম্পানি হয় প্রাইভেট লিমিটেড না হয় পাবলিক লিমিটেড।
প্রাইভেট লিমিটেড ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির মধ্যে মিলের চেয়ে অমিলই বেশি। এ দুই ধরেনর কোম্পানির মধ্যে মাত্র একটি বিষয়ে মিল রয়েছে-সেটি হচ্ছে এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার যে পরিমাণ শেয়ার ধারণ করেন কোম্পানির দায়-দায়িত্ব তার উপর ততটুকুই বর্তায়। কোম্পানি লভ্যাংশ বিতরণ করলে শেয়ারহোল্ডার তার ধারণকৃত শেয়ার সংখ্যার অনুপাতে লভ্যাংশ পান। আবার লোকসান বা ঋণ থাকলে তার দায়িত্বও আনুপাতিক হারে বহন করতে হয়। পুরো দায় কোনো শেয়ারহোল্ডারকে নিতে হয় না।
কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে প্রাইভেট ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে:
০১. শেয়ারহোল্ডার সংখ্যা: প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে ন্যূনতম শেয়ারহোল্ডার থাকতে হয় দুই জন। আর সর্বোচ্চ শেয়ারহোল্ডার হতে পারে ৫০ জন। এর বেশি শেয়ারহোল্ডার নিতে হলে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত করতে হয়। অন্যদিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যুনতম ৭ জন শেয়ারহোল্ডার থাকতে হয়। কিন্তু শেয়ারহোল্ডারের সর্বোচ্চ কোনো সংখ্যা থাকে না। অর্থাৎ যথাযথ প্রক্রয়া অনুসরণ করে, ক্ষেত্র বিশেষে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নিয়ে যে কোনো সংখ্যক শেয়ার ইস্যু করা যায়।
০২. শেয়ার হস্তান্তর : প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর ও ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ থাকে, যা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্র থাকে না। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির কোনো শেয়ারহোল্ডার শেয়ার বিক্রি করতে চাইলে তাকে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যই তা বিক্রি করতে হয়। তবে তাদের সম্মতি সাপেক্ষে বাইরের কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে শেয়ার বিক্রি বা জস্তান্তর করা যায়। অন্যদিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা তাদের পছন্দমাফিক যে কারো কাছে নিজ নিজ শেয়ার বিক্রি করতে পারেন।
০৩. সাধারণের কাছে শেয়ার বা বন্ড বিক্রি:  প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্র এ সুযোগ নেই। অর্থাৎ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি জনসাধারণের কাছে শেয়ার এবং ডিবেঞ্চার ও বন্ডসহ কোনো ধরণের ঋণপত্র বিকি্র করতে পারে না। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জনসাধারণের কাছে শেয়ার ও বন্ড বিক্রি করতে পারে।

Post a Comment

0 Comments