বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) রয়েছে সড়ক ও জনপথ, গণপূর্ত,
জনস্বাস্থ্য, বন, স্বাস্থ্য, রেলওয়ে প্রকৌশল, পশুসমপদ, মত্স্য, পরিসংখ্যান
ও গবেষণা কর্মকর্তা, কারিগরি শিক্ষা, কৃষি, খাদ্য ও সাধারণ শিক্ষা এই ১৩টি
পেশাগত ক্যাডার। অথচ যে শিল্প আয়ের সম্ভাবনার ওপর দাঁড়িয়ে স্বনির্ভর
বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে, তাদের নেপথ্য কারিগর বস্ত্র খাতের
প্রকৌশলীদের জন্য নেই পৃথক কোনো ক্যাডার সার্ভিস। টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের
পৃথক ক্যাডার সার্ভিস না থাকায় বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রশাসনিক ও
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যে দুই শতাধিক প্রথম শ্রেণির পদ বিদ্যমান এবং সমসংখ্যক
সৃষ্ট প্রক্রিয়াগত পদগুলোয় টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েটদের দক্ষতা খর্ব হচ্ছে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্যাডারভুক্ত না হওয়ার কারণে অন্য ক্যাডারভুক্তদের
অধীনতা গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। একই গ্রেডভুক্ত হওয়ার পরও ক্যাডারভুক্ত না
থাকায় গ্র্যাজুয়েটধারী ব্যক্তিটি একদিকে যেমন মেধার সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছেন
না, অন্যদিকে সামাজিক মর্যাদার দিক থেকেও পিছিয়ে পড়ছেন। তাই টেক্সটাইল
প্রকৌশলীদের এসব বৈষম্য রোধে পৃথক ক্যাডার চালু করাটা সমুচিত। একবিংশ
শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সাল নাগাদ
মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে বস্ত্রশিল্পে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের
ক্যাডারভুক্ত করলে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে, অন্যদিকে
জাতীয় উন্নয়নেও টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েটরা সরাসরি অবদান রাখতে পারবে।
মো. রেদোয়ান হোসেন
শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টাঙ্গাইল
0 Comments