পানিই জীবন। পানির অপর নামও জীবন। তবে তা যদি হয় বিশুদ্ধ পানি। অন্যদিকে
দূষিত পানি হতে পারে নানা রোগের কারণ, এমনকি প্রাণহরণকারীও। এ রকম উদাহরণ
কম নেই। কিছু কিছু রোগের জীবাণু রয়েছে যা পানিবাহিত। অপরিষ্কার, নোংরা পানি
পান করার মাধ্যমে এই রোগগুলো মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। আমরা সবাই যে
জেনেশুনে এসব পানি পান করি তা নয়। অনেকের অজান্তেও এ ধরনের পানি পান করা
হতে পারে। তাই সতর্ক থাকা উচিত সর্বক্ষেত্রে। তবে বিষয়টি যখন অবহেলা বা
দায়িত্ব পালনে উদাসীনতার অভিযোগে অভিযুক্ত হয় তখন এটিকে স্বাভাবিক বলে মেনে
নেয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না। এমনটিই ঘটেছে চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ
ও হালিশহরসহ বিভিন্ন স্থানে পানির রিজার্ভ ট্যাংকের ক্ষেত্রে। ৪ জুলাই
মানবকণ্ঠে প্রকাশিত একটি সংবাদে নিয়মিত রিজার্ভার পরিষ্কার না করায় এসব
এলাকার মানুষ বিশুদ্ধ পানির অভাব ও জন্ডিসসহ পানিবাহিত নানা রোগে ভুগছেন।
অভিযোগ রয়েছে, এসব এলাকায় হাজার হাজার মানুষের বাস হলেও সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষ ও বাড়ির মালিকদের অবহেলায় সংস্কার হয় না পানির রিজার্ভ
ট্যাংকগুলো। ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
আধুনিক নাগরিক জীবনে অধিকাংশ মানুষই এখন শহরে বসবাস করেন। এছাড়া গ্রামাঞ্চলও আর আগের চেহারায় নেই। ধীরে ধীরে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে শহরের আবেশ। দালানকোঠায় ভরে উঠছে রাতারাতি। এসব দালানকোঠায় বিশেষ করে সুউচ্চ দালানগুলোতে দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে পানি রিজার্ভ করে রাখা হয়। এটি কর্তৃপক্ষ কিংবা ব্যক্তিগতও হতে পারে। নিয়মানুযায়ী বছরে অন্তত কয়েকবার রিজার্ভার খালি করে তা ভালো করে পরিষ্কার করা উচিত। কিন্তু সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা এমন অনেকের অভিযোগ, ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কয়েক বছরেও রিজার্ভ ট্যাংক পরিষ্কার করেনি। ফলে পানির রং বদলে হলুদ হয়ে গেছে এবং দুর্গন্ধ রয়েছে। এই পানিই এলাকার সর্বত্র সরবরাহ করা হয় এবং এলাকার বাসিন্দারা ব্যবহার করতে বাধ্য হন। যথাযথ কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা নিয়মিতই রিজার্ভ ট্যাংক পরিষ্কার করেন। বাস্তবে যদিও এর প্রমাণ মেলেনি। অন্যদিকে কোনো কোনো এলাকার রিজার্ভ ট্যাংক সমতলে হওয়ায় ভারি বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটের ময়লা-নোংরা পানি এমনকি সেপটিক ট্যাংকের পানিও তাতে ঢুকে পড়ে। এই পানি পানে কী ভয়াবহ শারীরিক সমস্যা হতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষদের শরীরে নানা ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়াই এর প্রমাণ।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ও হালিশহরে রিজার্ভারের পানি নিয়ে অভিযোগ উঠলেও সারাদেশেই বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট রয়েছে। রাজধানীজুড়ে ওয়াসার লাইনগুলো এখনো পরিপূর্ণ সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। রিজার্ভার পরিষ্কার না করার কারণে পানির লাইনে ময়লা, পোকা, দুর্গন্ধ এবং পানির স্বাভাবিক রং না থাকার অভিযোগ বহু পুরনো। এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই।
ব্যক্তিগত বা সেবামূলক কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সরবরাহকৃত পানি বিশুদ্ধ হওয়াটা অন্যতম একটি শর্ত। কারণ এর সঙ্গে একজন মানুষের সুস্থ থাকার সম্পর্ক জড়িত। নিয়মিত রিজার্ভার পরিষ্কার রাখাটা যেমন জরুরি তেমনি পানি ফুটিয়ে বা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করেও পানি বিশুদ্ধ করা যায়। তার মানে এই নয়, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেবে না। তাদের উদ্যোগ এবং নাগরিক সচেতনতা এ ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করি।
আধুনিক নাগরিক জীবনে অধিকাংশ মানুষই এখন শহরে বসবাস করেন। এছাড়া গ্রামাঞ্চলও আর আগের চেহারায় নেই। ধীরে ধীরে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে শহরের আবেশ। দালানকোঠায় ভরে উঠছে রাতারাতি। এসব দালানকোঠায় বিশেষ করে সুউচ্চ দালানগুলোতে দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে পানি রিজার্ভ করে রাখা হয়। এটি কর্তৃপক্ষ কিংবা ব্যক্তিগতও হতে পারে। নিয়মানুযায়ী বছরে অন্তত কয়েকবার রিজার্ভার খালি করে তা ভালো করে পরিষ্কার করা উচিত। কিন্তু সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা এমন অনেকের অভিযোগ, ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কয়েক বছরেও রিজার্ভ ট্যাংক পরিষ্কার করেনি। ফলে পানির রং বদলে হলুদ হয়ে গেছে এবং দুর্গন্ধ রয়েছে। এই পানিই এলাকার সর্বত্র সরবরাহ করা হয় এবং এলাকার বাসিন্দারা ব্যবহার করতে বাধ্য হন। যথাযথ কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা নিয়মিতই রিজার্ভ ট্যাংক পরিষ্কার করেন। বাস্তবে যদিও এর প্রমাণ মেলেনি। অন্যদিকে কোনো কোনো এলাকার রিজার্ভ ট্যাংক সমতলে হওয়ায় ভারি বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটের ময়লা-নোংরা পানি এমনকি সেপটিক ট্যাংকের পানিও তাতে ঢুকে পড়ে। এই পানি পানে কী ভয়াবহ শারীরিক সমস্যা হতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষদের শরীরে নানা ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়াই এর প্রমাণ।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ও হালিশহরে রিজার্ভারের পানি নিয়ে অভিযোগ উঠলেও সারাদেশেই বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট রয়েছে। রাজধানীজুড়ে ওয়াসার লাইনগুলো এখনো পরিপূর্ণ সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। রিজার্ভার পরিষ্কার না করার কারণে পানির লাইনে ময়লা, পোকা, দুর্গন্ধ এবং পানির স্বাভাবিক রং না থাকার অভিযোগ বহু পুরনো। এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই।
ব্যক্তিগত বা সেবামূলক কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সরবরাহকৃত পানি বিশুদ্ধ হওয়াটা অন্যতম একটি শর্ত। কারণ এর সঙ্গে একজন মানুষের সুস্থ থাকার সম্পর্ক জড়িত। নিয়মিত রিজার্ভার পরিষ্কার রাখাটা যেমন জরুরি তেমনি পানি ফুটিয়ে বা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করেও পানি বিশুদ্ধ করা যায়। তার মানে এই নয়, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেবে না। তাদের উদ্যোগ এবং নাগরিক সচেতনতা এ ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করি।
0 Comments