নতুন বইয়ের সাদা পেইজ আর মন মাতানো গন্ধ দারুণ। কিন্তু কয়েক বছর গেলেই
আস্তে আস্তে সাদা রঙ হয়ে পড়ে বাদামী-হলুদ, সেই মন মাতানো গন্ধের পরিবর্তে
একটা বোঁটকা গন্ধও নাকে লাগে। কিন্তু কি তার কারণ! আমরা জানি গাছ থেকে কাঠ,
সেই কাঠ থেকে পাল্প, আর পাল্প থেকেই তৈরি হয় কাগজ। এই কাগজেই ছাপা হয় বই।
কাঠে সেলুলোজ এবং লিগনিন নামক উপাদান থাকে। প্রকৃতিতে অর্গানিক ম্যাটেরিয়েলের মধ্যে সেলুলোজ অত্যাধিক পরিমানে পাওয়া যায়। সেলুলোজ বর্ণহীন এবং এটি আলোকে শোষন না করে বরং রিফ্লেক্ট করে। এজন্যেই আমরা সেলুলোজ সাদা দেখি। অক্সিডেশনে সেলুলোজ লিগনিন অপেক্ষা কম ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অক্সিডেশন কাগজের ইলেকট্রনকে নিঃশ্বেষ করে এটার কোয়ালিটি কমিয়ে দেয়। সেলুলোজ খুব কম পরিমানে আলো শোষন করে বইয়ের পাতাকে হালকা হলদেটে করে দেয়। কিন্তু আসল ক্ষতিটা হয় কাগজে থাকা লিগনিন অক্সিডেশনের ফলে। বেশির ভাগ দৈনিক পত্রিকার কাগজে লিগনিনের মাত্রা বেশি থাকে। লিগনিন উপাদানটি মূলত গাছের কাঠকে শক্ত ও মজবুত করে থাকে। লিগনিন ব্যতিত গাছ দৈর্ঘ্যে বড়জোর ৬ ফিট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। লিগনিন অক্সিডেশনে বইয়ের পাতা বেশ ভালই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উচ্চ লিগনিন-সমৃদ্ধ কাগজ যখন বাতাসের সংস্পর্শে আসে, তখন অক্সিজেন লিগনিনের মলিকুলার গঠন পরিবর্তন করে দেয়। সাথে যদি সূর্যরশ্মি থাকে তাহলে এটি আরো ত্বরান্বিত হয়। এভাবে লিগনিন পুরোপুরি অক্সিডাইজড হয়ে কাগজের পাতাকে মানুষের ভিজুয়াল স্পেকট্রামে বাদামী-হলুদ হিসেবে দেখায়।
দৈনিক সংবাদপত্রগুলো ব্যয়-সংকোচনের জন্যে উচ্চ-লিগনিনযুক্ত কাঠ হতে তৈরি কাগজ দিয়ে ছাপানো হয়, ফলে আমরা দেখি বছর-ছয় মাসের মধ্যেই পুরোনো খবরের কাগজগুলো হলদেটে হয়ে পড়ে। কিন্তু বই ছাপানোর কাজে যে কাগজগুলো ব্যবহৃত হয় তা ‘ব্লিচিং’ নামক বিশেষ প্রক্রিয়ায় লিগনিন কমানো হয়। তাই খুব ধীরে ধীরে বইয়ের রঙ হলদেটে-বাদামী হয়ে থাকে। বর্তমানে, গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলো দীর্ঘকালীন সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে স্বল্পমাত্রার লিগনিন-যুক্ত এসিড-ফ্রী কাগজে লিখা হয়। বই সংরক্ষণের রুমে যদি তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা অনিয়ন্ত্রিত থাকে তাহলেও বই খুব দ্রুত পুরোনো হয়ে যায়।
বইয়ে দ্রুত পুরোনো ভাব এসে যাওয়ার আরেকটি কারন ছত্রাক। ছত্রাকের সুপ্ত স্পোরগুলো বাতাসে ঘুরে বেড়ায়। কোন জৈব পদার্থ পেলে ছত্রাক তাতে আশ্রয় নেয় এবং জৈব উপাদানগুলো ব্যবহার করে সংখ্যায় বাড়তে থাকে। বইয়ের ক্ষেত্রে, কাগজের সেলুলোজ ও লিগনিনকে ডাইজেস্ট করে ছত্রাক বংশবৃদ্ধি করে থাকে। এধরণের ছত্রাকের মধ্যে আছে Ascomycetes, Basidiomycetes ইত্যাদি। ছত্রাকের আক্রমণে প্রথমে বুক কাভারে সাদাটে দাগ পড়ে, পরবর্তীতে পুরো বই হলদেটে-বাদামী হয়ে পড়ে। বই নষ্ট হওয়ার আরেকটি কারণ হল বইপোকা। পরবর্তী কিস্তিতে বইপোকা সম্পর্কে লিখা হবে, বইপোকা কি কি ক্ষতি করে তাও।
কাঠে সেলুলোজ এবং লিগনিন নামক উপাদান থাকে। প্রকৃতিতে অর্গানিক ম্যাটেরিয়েলের মধ্যে সেলুলোজ অত্যাধিক পরিমানে পাওয়া যায়। সেলুলোজ বর্ণহীন এবং এটি আলোকে শোষন না করে বরং রিফ্লেক্ট করে। এজন্যেই আমরা সেলুলোজ সাদা দেখি। অক্সিডেশনে সেলুলোজ লিগনিন অপেক্ষা কম ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অক্সিডেশন কাগজের ইলেকট্রনকে নিঃশ্বেষ করে এটার কোয়ালিটি কমিয়ে দেয়। সেলুলোজ খুব কম পরিমানে আলো শোষন করে বইয়ের পাতাকে হালকা হলদেটে করে দেয়। কিন্তু আসল ক্ষতিটা হয় কাগজে থাকা লিগনিন অক্সিডেশনের ফলে। বেশির ভাগ দৈনিক পত্রিকার কাগজে লিগনিনের মাত্রা বেশি থাকে। লিগনিন উপাদানটি মূলত গাছের কাঠকে শক্ত ও মজবুত করে থাকে। লিগনিন ব্যতিত গাছ দৈর্ঘ্যে বড়জোর ৬ ফিট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। লিগনিন অক্সিডেশনে বইয়ের পাতা বেশ ভালই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উচ্চ লিগনিন-সমৃদ্ধ কাগজ যখন বাতাসের সংস্পর্শে আসে, তখন অক্সিজেন লিগনিনের মলিকুলার গঠন পরিবর্তন করে দেয়। সাথে যদি সূর্যরশ্মি থাকে তাহলে এটি আরো ত্বরান্বিত হয়। এভাবে লিগনিন পুরোপুরি অক্সিডাইজড হয়ে কাগজের পাতাকে মানুষের ভিজুয়াল স্পেকট্রামে বাদামী-হলুদ হিসেবে দেখায়।
দৈনিক সংবাদপত্রগুলো ব্যয়-সংকোচনের জন্যে উচ্চ-লিগনিনযুক্ত কাঠ হতে তৈরি কাগজ দিয়ে ছাপানো হয়, ফলে আমরা দেখি বছর-ছয় মাসের মধ্যেই পুরোনো খবরের কাগজগুলো হলদেটে হয়ে পড়ে। কিন্তু বই ছাপানোর কাজে যে কাগজগুলো ব্যবহৃত হয় তা ‘ব্লিচিং’ নামক বিশেষ প্রক্রিয়ায় লিগনিন কমানো হয়। তাই খুব ধীরে ধীরে বইয়ের রঙ হলদেটে-বাদামী হয়ে থাকে। বর্তমানে, গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলো দীর্ঘকালীন সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে স্বল্পমাত্রার লিগনিন-যুক্ত এসিড-ফ্রী কাগজে লিখা হয়। বই সংরক্ষণের রুমে যদি তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা অনিয়ন্ত্রিত থাকে তাহলেও বই খুব দ্রুত পুরোনো হয়ে যায়।
বইয়ে দ্রুত পুরোনো ভাব এসে যাওয়ার আরেকটি কারন ছত্রাক। ছত্রাকের সুপ্ত স্পোরগুলো বাতাসে ঘুরে বেড়ায়। কোন জৈব পদার্থ পেলে ছত্রাক তাতে আশ্রয় নেয় এবং জৈব উপাদানগুলো ব্যবহার করে সংখ্যায় বাড়তে থাকে। বইয়ের ক্ষেত্রে, কাগজের সেলুলোজ ও লিগনিনকে ডাইজেস্ট করে ছত্রাক বংশবৃদ্ধি করে থাকে। এধরণের ছত্রাকের মধ্যে আছে Ascomycetes, Basidiomycetes ইত্যাদি। ছত্রাকের আক্রমণে প্রথমে বুক কাভারে সাদাটে দাগ পড়ে, পরবর্তীতে পুরো বই হলদেটে-বাদামী হয়ে পড়ে। বই নষ্ট হওয়ার আরেকটি কারণ হল বইপোকা। পরবর্তী কিস্তিতে বইপোকা সম্পর্কে লিখা হবে, বইপোকা কি কি ক্ষতি করে তাও।
0 Comments