জানেন কি বারাক ওবামা থেকে নরেন্দ্র মোদী,বিখ্যাত ব্যক্তিরা কত ক্ষণ ঘুমোন ?

কেউ সময় কাটান সোশ্যাল মিডিয়ায় তো কারও সময় কাটে শুটিং ফ্লোরে। কেউ দেশ চালাতে ব্যস্ত তো কেউ আবার নিয়ন্ত্রণে রাখেন আস্ত একটা সোশ্যাল সাইট। সাফল্যের শিখরে পৌঁছনো এই মানুষগুলো কিন্তু ঘুমের থেকে কাজকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এক ঝলকে দেখে নিন এই সেলিব্রিটিরা ঘুমের জন্য ঠিক কতটা সময় নির্ধারিত করে রাখেন।
জ্যাক ডরসি: দিনের বেশিটা সময় সোশ্যাল মিডিয়াকেই দেন টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি। ৮-১০ ঘণ্টা সময় টুইটারে খুট খুট করেই কাটে তাঁর। সঙ্গে মিটিং তো রয়েইছে। ঘুমনোর জন্য হাতে বরাদ্দ করেছেন মাত্র পাঁচ ঘণ্টা।
শাহরুখ খান: শুটিং, ফিটনেস ওয়ার্ক আউট পেরিয়ে হাতে সময় বাঁচলে মিডিয়ার সামনে নানা পোজ। তাতেও যদি সময় বাঁচে তো ছবির প্রমোশন বা ছোটখাটো পার্টি তো লেগেই থাকে। আইপিএল-এর মরশুম হলে তো কথাই নেই। নানা দিক সামলে বলিউডের এই ব্যস্ত তারকা নাকি ঘুমের পিছনে দেন মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা।
মার্ক জ়াকারবার্গ: সারা দিন কাজ নিয়েই কেটে যায় ফেসবুক কর্তার। সম্প্রতি, তথ্য ফাঁস নিয়ে ফেসবুকের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠার পর নানা বিতর্কও তাঁকে সামাল দিতে হচ্ছে দক্ষতার সঙ্গে। তবে, কাজ ছাড়া নাকি অন্য বিষয়ে তেমন সময় অপচয় করেন না জ়াকারবার্গ। দিনে পাঁচ ঘণ্টা ঘুমিয়েই নিজেকে ফিট রাখেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদী: ফিটনেস নিয়ে তাঁর এজেন্ডা জগতজোড়া। সঠিক সময় ঘুম এবং নিয়মিত যোগই রীতিমতো তরতাজা রেখেছে বছর সাতষট্টির প্রধানমন্ত্রীকে। তবে, তাঁর ঘুমের সময়ও কিন্তু পরিমিত। দিনে ৪-৫ ঘণ্টার বেশি ঘুমের পিছনে দিতে নারাজ তিনি।
মারিসা মেয়র: সপ্তাহে ১৩০ ঘণ্টারও বেশি কাজ করেন ইয়াহুর সিইও মারিসা মেয়র। অতিরিক্ত ঘুম নাকি তাঁর একেবারেই নাপসন্দ। কাজটাই তাঁর কাছে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। দিনে ৪-৫ ঘণ্টা সময় মারিসার ঘুমের পিছনে খরচ করেন।
বারাক ওবামা: দিনভর কাজের জন্য তাঁর নাকি একটা নির্দিষ্ট টাইমটেবিল আছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে থাকার সময়েও এই নির্ধারিত সময়সীমা মেনে চলতেন তিনি। তাতে ঘুমের জন্য বরাদ্দ ছিল খুবই কম সময়। দিনে ৬ ঘণ্টারও কম সময় নাকি ঘুমাতেন বারাক ওবামা।
স্টিভ রেনমুন্ড: প্রতি দিন সকাল ৫টায় ঘুম থেকে ওঠাই অভ্যাস পেপসিকো-র প্রাক্তন অধিকর্তার। তারপর নিয়ম মেনে চলে শরীরচর্চা। ঘুমের সময়ও তাঁর কাছে খুবই নির্দিষ্ট। ৫-৬ ঘণ্টা সময় ঘুমের জন্য সরিয়ে রাখেন স্টিভ।

Post a Comment

0 Comments