আর্টিকেল অব এসোসিয়েশন বা সঙ্ঘবিধি হল একটি দলিল যা কোম্পানীর কার্যপ্রণালী এবং উদ্দেশ্যসহ কোম্পানীর যাবতীয় আভ্যন্তরীণ কার্যাবলী যেমনঃ পরিচালকগ নিয়োগের প্রক্রিয়া, আর্থিক লেনদেন কিভাবে লিপিবদ্ধ হবে তা উল্লেখ থাকে। এটা কোম্পানী পরিচালনার একটি ম্যানুয়াল হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
নিম্নোক্ত বিষয়গুলো আর্টিকেল অব এসোসিয়েশন বা সঙ্ঘবিধি সাধারণত উল্লেখ থাকেঃ
i. কোম্পানির নামঃ
একটি আইনি সত্তা হিসাবে, কোম্পানির একটি নাম থাকতে হবে। সীমিত দায় কোম্পানীর নামের পিছনে “লিমিটেড” কথাটি উল্লেখ করা হয়। এর মাধ্যমে বুঝা যায় শেয়ার হোল্ডারদের দায় তার মালিকানায় থাকা শেয়ার দ্বারা সীমাব্ধ।
ii. কোম্পানির উদ্দেশ্যঃ
কোম্পানির তৈরির কারণটি অবশ্যই সঙ্ঘবিধি বিবৃত করা আবশ্যক। একটি কোম্পানীর এক বা একাধিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
iii. মোট মূলধনঃ
এই অংশে কোম্পনীর মোট অনুমোদিত মূলধন উল্লেখ থাকে। অনুমোদিত মূলধন হল সেই মূলধন যা কোম্পানী সর্বোচ্চ পরিমাণ শেয়ার হোল্ডারদের কাছে বিক্রি করার অনুমতি পায়।
এর বেশি বিক্রি করার জন্য কোম্পানীকে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে।
iv. কোম্পানী সংগঠনঃ
এই বিভাগে তার ঠিকানা, পরিচালক ও কর্মকর্তাদের সংখ্যা, প্রতিষ্ঠাতা এবং মূল শেয়ারহোল্ডারদের পরিচয় সহ কোম্পানির আইনি প্রতিষ্ঠানটি এই বিভাগে পাওয়া যায়। এছাড়াও কোম্পানির অডিটর এবং আইনি পরামর্শদাতার নাম এখানে উল্লেখ থাকে।
v. শেয়ারহোল্ডার মিটিং বা সভাঃ
শেয়ারহোল্ডারদের প্রথম সাধারণ সভায় এবং পরবর্তীতে বার্ষিক শেয়ারহোল্ডারের সভাগুলোর পরিচালনার নিয়মসমূহ, যেমন নোটিশ, রেজোলিউশন এবং ভোটগুলি এই বিভাগের বিশদ ভাবে উল্লেখ থাকবে।
0 Comments