আমদানি ও রপ্তানি বিশ্ব বাণিজ্যের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বর্তমান বিশ্ব
বাজারকে আমদানি ও রপ্তানি ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। বাংলাদেশে আমদানি ও
রপ্তানি নিয়ন্ত্রন করে থাকে “আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর” যা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন গুরুত্বপূর্ণ একটি সরকারি দপ্তর। এই
দপ্তর হতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও ইন্ডেন্টরগনের অনুকূলে বিভিন্ন
নিবন্ধন, সনদ প্রদান এবং আমদানি-রপ্তানিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশে
আমদানি ও রপ্তানি করার জন্য একজন মানুষকে অবশ্যই নিবন্ধন সার্টিফিকেট বা
সনদ করতে হবে। আমদানি সনদ বা সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য নিম্নোক্ত প্রক্রিয়া
অনুসরণ করতে হবে।
আমদানি নিবন্ধন সার্টিফিকেট পাওয়ার প্রক্রিয়া:
i. আমদানি নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমটি অধিদপ্তরের http://www.ccie.gov.bd এই ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
ii. আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয়
অন্যান্য কাগজপত্র দাখিল করতে হবে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের
নিয়ন্ত্রাধীন আঞ্চলিক কার্যালয়ে।
iii. নির্ধারিত ফি (১৭৩১-০০০১-১৮০১ এর বরাবর ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে)
iv. ৩ কর্মদিবস সময় এর মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি
প্রধান নিয়ন্ত্রকের নিয়ন্ত্রাধীন আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে নিবন্ধন সনদ হাতে
গ্রহণ করা যাবে।প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
১. নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণপুর্বক সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনার/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিক সনদপত্র/জাতীয় পরিচয়পত্র
২. ১ কপি ছবি
৩. সরকারি ফি জমার ট্রেজারী চালান
৪. চেম্বার/ ট্রেড এসোসিয়েশনের সদস্যতা সনদ
৫. ট্রেড লাইসেন্স
৬. টিআইএন
৭. ব্যাংক স্বচ্ছলতার সনদ
৮. ক্ষেত্র বিশেষে রেজিস্টার্ড অংশীদারির দলিল
৯. মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন ও সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন
নিবন্ধন ফি ঃ
বার্ষিক আমদানি মূল্যসীমা
|
প্রাথমিক নিবন্ধন ফী
|
বার্ষিক নবায়ন ফী
|
জরিমানার হার
|
|
বছর
|
হার
|
|||
৫,০০,০০০
|
৫০০০ টাকা
|
৩০০০
|
১ম
|
৫০০
|
২৫,০০,০০০
|
১০০০০ টাকা
|
৬০০০
|
২য়
|
১০০০
|
৫০,০০,০০০
|
১৮০০০
|
১০০০০
|
৩য়
|
২০০০
|
১,০০,০০,০০০
|
৩০০০০
|
১৫০০০
|
৩য় এর বেশি হলে
|
পূর্ববর্তী বছরের দ্বিগুণ হারে
|
৫,০০,০০,০০০
|
৪৫০০০
|
২২০০০
|
||
৫,০০,০০,০০০ এর উপর
|
৬০০০০
|
৩০০০০
|
সূত্রঃ আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (http://www.ccie.gov.bd)
- সারচার্জবিহীন নবায়নের জন্য সময়সীমা প্রতিবছর ১লা জুলাই হতে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
- সকল প্রকার ফী এর উপর ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য।
- নবায়ন বই এর ফী ১০০০ টাকা।
i. রপ্তানি নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমটি অধিদপ্তরের http://www.ccie.gov.bd এই ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
ii. আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয়
অন্যান্য কাগজপত্র দাখিল করতে হবে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের
নিয়ন্ত্রাধীন আঞ্চলিক কার্যালয়ে।
iii. নির্ধারিত ফি (১৭৩১-০০০১-১৮০১ এর বরাবর ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে)
iv. ৩ কর্মদিবস সময় এর মধ্যে
আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের নিয়ন্ত্রাধীন আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে
নিবন্ধন সনদ হাতে গ্রহণ করা যাবে।
১. নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণপুর্বক সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনার/ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিক সনদপত্র/ জাতীয় পরিচয়পত্র
২. ১ কপি ছবি
৩. সরকারি ফি জমার ট্রেজারী চালান
৪. চেম্বার/ ট্রেড এসোসিয়েশনের সদস্যতা সনদ
৫. ট্রেড লাইসেন্স
৬. টিআইএন
৭. ব্যাংক স্বচ্ছলতার সনদ
৮. ক্ষেত্র বিশেষে রেজিস্টার্ড অংশীদারির দলিল
৯. মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন ও সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন
নিবন্ধন ফি ঃ
প্রাথমিক নিবন্ধন ফী
|
বার্ষিক নবায়ন ফী
|
জরিমানার হার
|
|
বছর
|
হার
|
||
৭০০০ টাকা
|
৫০০০ টাকা
|
১ম
|
৫০০
|
২য়
|
১০০০
|
||
৩য়
|
১৫০০
|
||
৩য় এর বেশি হলে
|
পূর্ববর্তী বছরের দ্বিগুণ হারে
|
- নবায়ন বই এর ফী ১০০০ টাকা
আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর ঃ
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবন (এনএসসি টাওয়ার) ১৬ তলা,
৬২/৩, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
ই-মেইল- controller.chief@ccie.gov.bd
ফোন-০২-৯৫৫৩৩৪৯ (হেল্প ডেস্ক)
ফ্যাক্স-০২-৯৫৫০২১৭
ক্লিয়ারিং এবং ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট:
ক্লিয়ারিং এবং ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট আমদানি রপ্তানি বা আভ্যন্তরীন ব্যবসায়ে পন্য আমদানি কারক হতে রপ্তানি কারকের কাছে বা বিক্রেতার কাছ থেকে ক্রেতার কাছে প্রেরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে থাকে। সাধারনত একজন ক্লিয়ারিং এবং ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট পন্য ক্রয় বা বিক্রয় এর ক্ষেত্রে মধ্যবর্তী মাধ্যম হিসাবে কাজ করে। নিম্নোক্ত কাজগুলি একজন ক্লিয়ারিং এবং ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট করে থাকেনঃ
i. প্রতিনিধি হিসাবে তার
নিয়োগকর্তার জন্য প্রয়োজনীয় আমদানি ও রপ্তানির আনুষ্ঠানিকতা যেমনঃ পন্য
বিক্রেতা বা রপ্তানিকারকের বা তার প্রতিনিধির কাছ থেকে গ্রহণ, দলিলাদি
দেখানো ও দলিলাদি গ্রহণ ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করা।
ii. পন্য গ্রহণের পর তা গুদামজাত করা ও তার রক্ষণাবেক্ষণ করা।
iii. নিয়োগকর্তার নির্দেশনা মেনে চলা।
iv. নিয়োগকারী বা প্রিন্সিপাল এর অনুমোদিত গাড়ি বা নিজের পরিবহনের মাধ্যমে প্রিন্সিপালের কাছে পন্য প্রেরণের ব্যবস্থা করা।
v. প্রাপ্ত পণ্য এবং সরবরাহের রশিদ এবং সরবরাহের হিসাব রাখা।
0 Comments