এলসি:
এলসি বা লেটার অফ ক্রেডিট যা ব্যাঙ্ক তার আবেদনকারী গ্রাহককে প্রদান করে থাকে। এটা মূলত গ্রাহকের ধারের একটা জামানত পত্র। গ্রাহক যে তার পাওনা পরিশোধ করে দিবে তা বিক্রেতার কাছে গেরান্টি দেয়া। বিশ্বায়নের যুগে দু দেশের দুজন ব্যবসায়ি একজন আরেকজনকে না চিনলেও ব্যবসা বন্ধ হতে পারে না। তারা অর্থ পরিশোধের ঝুঁকি দূর করার জন্যই মূলত ব্যাঙ্ক এর দেয়া এলসি এর উপর নির্ভর করে। কোন কারণে ক্রেতা যদি তার প্রতিশ্রুত অর্থ প্রদান করতে ব্যর্থ হয় তবে ব্যাঙ্ক তার গ্রাহকের হয়ে সে অর্থ প্রদান করে দিবে।
এলসি করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
ব্যাক টু ব্যাক এল সিঃ
ব্যাক টু ব্যাক এলসি’র মাধ্যমে রপ্তানিকারক রপ্তানির উদ্দেশ্যে পণ্য ক্রয়, প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্রস্তুতকরণ এবং প্যাকেজিং এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করে। এটা অনেকটা জামানত পত্র হিসাবে তার ব্যাঙ্কের নিকট জমা দিয়ে অর্থ ধার নেন রপ্তানিকারক বা বিক্রেতা।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
এলসি বা লেটার অফ ক্রেডিট যা ব্যাঙ্ক তার আবেদনকারী গ্রাহককে প্রদান করে থাকে। এটা মূলত গ্রাহকের ধারের একটা জামানত পত্র। গ্রাহক যে তার পাওনা পরিশোধ করে দিবে তা বিক্রেতার কাছে গেরান্টি দেয়া। বিশ্বায়নের যুগে দু দেশের দুজন ব্যবসায়ি একজন আরেকজনকে না চিনলেও ব্যবসা বন্ধ হতে পারে না। তারা অর্থ পরিশোধের ঝুঁকি দূর করার জন্যই মূলত ব্যাঙ্ক এর দেয়া এলসি এর উপর নির্ভর করে। কোন কারণে ক্রেতা যদি তার প্রতিশ্রুত অর্থ প্রদান করতে ব্যর্থ হয় তবে ব্যাঙ্ক তার গ্রাহকের হয়ে সে অর্থ প্রদান করে দিবে।
এলসি করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
১) ব্যবসায়ের হালনাগাদ করা ট্রেড লাইসেন্স।
(২) সর্বশেষ অডিট রিপোর্ট।
(৩) একটি আইআরসি (IRC-Import Registration Certificate) বা আমদানি সনদ।
(৪) স্থানীয় বাণিজ্য চেম্বার বা সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের থেকে সদস্যপদ সার্টিফিকেট।
(৫) আয়কর ছাড়পত্র বা নতুন কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য আয়কর ঘোষণা পত্র।
(৬) মূসক বা ভ্যাট এর নিবন্ধন সনদপত্র
এলসি তৈরি করার প্রক্রিয়াঃ
১: কোন ব্যাংক এ কোম্পানীর একাউন্ট থাকতে হবে না থাকলে খুলতে হবে আপনাকে।
২: যে পন্য আনবেন তার ইনডেন্ট সংগ্রহ করতে
হবে আপনাকে। ইনডেন্ট হল পন্যের মূল্য তালিকা। (ধরা যাক আপনি ৩০ টন চাল
আনবেন শ্রীলংকা থেকে। এখন যে কোম্পানী থেকে আনবেন সে কোম্পানীর বাংলাদেশ
প্রতিনিধির কাছে গিয়ে দাম দর ঠিক করে একটা ডকুমেন্ট নেবেন। এটাই ইনডেন্ট বা
মূল্য তালিকা। আর সে কোম্পানীর যদি বাংলাদেশ প্রতিনিধি না থাকে তাহলে সে
কোম্পানীতে সরাসরি মেইল করে দাম ঠিক করে ডকুমেন্ট আনাতে হবে। তখন এটাকে বলা
হয় পি আই বা প্রফরমা ইনভয়েস। এতে পণ্যের বিস্তারিত, দাম, পোর্ট অব
শিপমেন্ট এসব তথ্যাদি থাকে।)
৩: ব্যাংক থেকে এলসিএ (লেটার অব ক্রেডিট এপ্লিকেশন) ফর্ম কালেক্ট করে ইনডেন্ট/পিআই অনুযায়ী তা পূরন করে ব্যাংক এ জমা দেয়া।
৪: এলসি মার্জিন জমা দেয়া । প্রথম দিকে
ব্যাংক এ পুরো টাকাটাই জমা দিতে হবে। ধরা যাক এলসি ভ্যালু বা মূল্য ৫০,০০০
ডলার। যদি প্রতি ডলার এর বাজার মূল্য ৮০ টাকা হয় তবে ব্যাংক এ আপনাকে ৪০
লাখ টাকা জমা দিতে হবে। তবে আস্তে আস্তে ব্যাংকের সাথে ব্যবসা বাড়লে তখন
১০-২০% মার্জিন দিয়ে এলসি খোলা যেতে পারে। টাকার সাথে আরও কিছু দলিলাদি জমা
দিতে হবে। যেমন:
- আপনার কোম্পানীর সব কাগজ যেমনঃ ট্রেড লাইসেন্স, টিন, ভ্রাট, আইআরসি ইত্যাদি জমা দিতে হবে।
- ৩/৪ কপি ইনডেন্ট/পিআই জমা দিতে হবে।
- সাপ্লায়ার বা সররাহকারী কোম্পানীর ব্যাংক ক্রেডিট রিপোর্ট
- ইন্সুরেন্স কভার নোট (যে কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে ইনডেন্ট দেখিয়ে ফি দিয়ে এটা নিতে হবে)
ব্যাক টু ব্যাক এল সিঃ
ব্যাক টু ব্যাক এলসি’র মাধ্যমে রপ্তানিকারক রপ্তানির উদ্দেশ্যে পণ্য ক্রয়, প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্রস্তুতকরণ এবং প্যাকেজিং এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করে। এটা অনেকটা জামানত পত্র হিসাবে তার ব্যাঙ্কের নিকট জমা দিয়ে অর্থ ধার নেন রপ্তানিকারক বা বিক্রেতা।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
১. এলসি বা লেটার অফ ক্রেডিট খোলার আবেদন ফর্ম।
২. পন্যের মূল্য তালিকা বা ইনডেন্ট বা প্রোফর্মা ইনভয়েস
৩. এলসিএফ
৪. আইএমপি ফর্ম বা আমদানি অনুমতি পত্র
৫. ইন্সুরেন্স কাভার নোট
৬. রপ্তানি লেটার অফ ক্রেডিট বা এলসির মূল কপি
0 Comments