ট্যাক্সপেয়ারস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (TIN)

টিনঃ ট্যাক্সপেয়ারস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর সংক্ষেপে টিআইএন। টিন (Taxpayer’s Identification Number or TIN) হচ্ছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত ১২ সংখ্যার একটি ইউনিক আই ডি নম্বর যা প্রত্যেক করদাতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রাজস্ব বিভাগ থেকে প্রদান করা  হয় । প্রত্যেক করদাতা টিন নম্বরের বিপরীতে বছরের নির্ধারিত সময়ে সরকারকে কর প্রদান করে থাকে।
টিনের প্রয়োজনীয়তাঃ
  1. রপ্তানি/আমদানি করার জন্য রপ্তানিপত্র/আমদানিপত্র রেজিস্ট্রেশন করার জন্য;
  2. কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য;
  3. বিভাগীয় জেলা শহর অথবা পৌরসভায় ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য;
  4. মাল সরবরাহ, চুক্তিনামা অথবা অন্যান্য যেকোনো বাণিজ্যের দরপত্রের জন্য;
  5. কোনও ব্যক্তির কমার্শিয়াল ব্যাংক অথবা লিজিং কোম্পানি থেকে ঋণ গ্রহণ বা ঋণ অনুমোদনের জন্য;
  6. ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করার জন্য, ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য ইত্যাদি।

ইটিন(E-TIN) করার প্রক্রিয়াঃ
ইন্টারনেটের মাধ্যমেও টিন সংগ্রহ করা যায়। একে ই-টিন বলা হয়। এটা করার প্রক্রিয়া নিম্নে দেয়া হলঃ
ধাপ-১
প্রথমে এই সাইটে https://www.incometax.gov.bd/Registration/ গিয়ে রেজিস্ট্রার বাটনে ক্লিক করতে হবে। ওখানে গিয়ে ইউসার আইডি, পাসওয়ার্ড, নিরাপত্তা প্রশ্ন, ইমেইল ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে নিচের রেজিস্ট্রার এ ক্লিক করতে হবে। সাথে সাথে প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে একটি কোড সহ এনবিআর এর ক্ষুদে বার্তা চলে আসবে।
ধাপ-২
এবার ই- টিন অ্যাক্টিভেশন নামক পাতায় প্রাপ্ত কোডটি টাইপ করে Activate বাটনে ক্লিক করতে হবে। অতঃপর পরের পাতায় For TIN registration/re-registration, click here এই অংশে ক্লিক করলে নতুন পাতা আসবে। এখানে যাবতীয় জরুরী তথ্য দিয়ে নেক্সট এ ক্লিক করে করে আগাতে হবে। করদাতার ধরণ অংশে ব্যক্তি/ প্রবাসী/ কোম্পানি- যা প্রযোজ্য তা নির্বাচন করতে হবে। যাদের পূর্বে টিন সার্টিফিকেট ছিল না, তারা New registration নির্বাচন করবেন, আর যাদের ছিল তাদের জন্য হবে Re-registration অপশন। অতঃপর পুরনো টিন নম্বর লিখে পরের পাতায় যেতে হবে। এবার করদাতার আয় সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য যেমনঃ পেশা, আয়ের উৎস, স্থান এগুলো লিখে পরবর্তী পাতায় যেতে হবে। এরপর, ব্যক্তিগত সব তথ্য তথা নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর (যদি থাকে) প্রভৃতি প্রযোজ্য বিষয় গুলো সঠিক ভাবে উল্লেখ করে কনফার্ম করলেই কিছুক্ষণের মধ্যেই ই- টিন প্রস্তুত হয়ে যাবে। মজার বিষয়, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দেওয়ার সাথে সাথে ছবি সহ সব তথ্য যাচাই হয়ে যায় স্বয়ংক্রিয় পন্থায়। প্রস্তুতকৃত সার্টিফিকেট তৎক্ষণাৎ প্রিন্ট করে নেওয়া যাবে। অথবা পিডিএফ এ সংরক্ষণ করেও রাখা যায়, পরে ছাপিয়ে নেওয়া যাবে। তৈরি হয়ে গেল নিজ হাতে নিজের ই- টিন সার্টিফিকেট|
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
ব্যক্তিগত টিআইএন সার্টিফিকেটের জন্য-
     i.        ২ কপি ছবি
    ii.        জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি।

কোম্পানি টিআইএন সার্টিফিকেটের জন্য-
     i.        চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ৩ কটি ছবি
    ii.        ট্রেড লাইসেন্সের কপি
   iii.        মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেলস-এর কপি
   iv.        ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেটের কপি
    v.        সব পরিচালকের টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি
অংশিদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে:
  অংশিদারি চুক্তিপত্রের কপি।

Post a Comment

0 Comments