জীবনে সফল হতে যে ১০টি কাজ করা খুবই প্রয়োজন ?


একটি আদর্শ জীবন ঘঠনের জন্য কে না চাই,প্রত্যেক পরিবারে মা,বাবা চাই তাদের সন্তানরা আর্দশবান ব্যক্তি ও সফল ব্যক্তি হোক।জীবন গঠনের ক্ষেত্রে, যে যেভাবে চান সেভাবেই জীবন ধারণ করতে পারেন। জীবনে সফল হতে হলে পরিশ্রম, সৎততা, প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করতে হবে।তা না হলে সহজে সফলতা আসবে না জীবনে।
একজন শিক্ষক যখন ছাত্রকে গণিত করান তখন তিনি গণিত কোন সূত্র বা কোন কোন নিয়মের প্রয়োগের ফলে মিলবে সেই কথাটি বলে দেয় আর গণিত টাকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে লিখে তার উত্তর বের করাটা আপনাদের কাজ, তাই কোন সূত্র বা নিয়মে করলে স্যার খুশি হবেন নম্বর পাবেন আপনি সফল হবেন সেইটা আপনাকেই বুঝতে হবে/ বোঝে নিতে হবে। তেমনি একটি কোম্পানিতে আপনি, মার্কেটিং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে আছেন, তখন কোম্পানির সিস্টেম অনুযায়ী আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সাইট বা প্রজেক্টে গিয়ে অর্ডার আনতে হবে,এখন আপনাকে চিন্তা করতে হবে কিভাবে কোন মাধ্যমে গেলে সফলভাবে অর্ডারটা আপনি পাবেন, এই উদাহারণ গুলো দেওয়ার কারণটা হল আপনার সফলতা রাস্তা কিন্তু আপনিই পছন্দ করবেন।অন্য কেউ নয়...।
আদর্শ জীবন ধারণের উপায়গুলো সম্পর্কে আপনার জানা না৷ থাকতে পারে। বর্তমান জীবন নিয়ে অতিষ্ঠ। চলুন জেনে নেই আদর্শ জীবনযাপনের ১০টি পদ্ধতি বা উপায়
১. নিজের সেরাটা খুঁজে বের করুন: আপনাকে চিন্তা করতে হবে, আপনার কোন বিষয় টার উপর সবচেয়ে বেশি দক্ষতা আছে। তার জন্য আপনাকে বিভিন্ন কাজ করে যেতে হবে। হয়তো ব্যর্থ হবেন অনেক বার। কিন্তু ব্যর্থ না হলে জানতে পারবেন না আপনি কোথায় সেরা। পরীক্ষা করতে থাকুন খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে ঘুম, কোন কিছু বাদ দেবেন না। দিনের কোন সময়ে সবচেয়ে বেশি কার্যদীপ্ত থাকেন, তা খুঁজে বের করুন। এবং নিজেকে নিজের সেরাটি দিন।
২. ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন: আপনার দৈনন্দিন কাজে কিছু ভালো অভ্যাস থাকা জরুরি। যেমন রাতে শুবার আগে দাত ব্রাশ করা, খুব সকালে ঘুম থেকে উঠা, সকালে পানি পান করা,প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করা, পুষ্টি কর খাবার খাওয়া এবং মেডিটেশন খুব ভালো অভ্যাস। এসব অভ্যাস তৈরি করলে প্রতিদিন চাঙ্গা থাকবেন।মন থাকবে প্রাণবন্ত। কাজেও ভালো মনোযোগ থাকবে।
৩. মনোযোগী হয়ে ওঠার কৌশল শেখান সন্তানদের : একজন নয় বছর বয়সে ধ্যান করতে শিখেছিলেন। তার বাচ্চাদেরও তিনি মেডিটেশন বা ধ্যান করতে উৎসাহিত করেন। এ অভিজ্ঞতা থেকে লেখিকা বিশেষজ্ঞ মল্লিকা চোপরা লিখেছেন ‘জাস্ট ব্রেথ: মেডিটেশন, মাইন্ডফুলনেস, মুভমেন্ট এন্ড মোর’ নামে একটি বই লেখেন। ধ্যানের পাশাপাশি এই বইতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে উৎসাহিত করা হয়েছে। হাঁটা এবং যোগব্যায়াম করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে,তিনি সন্তানদের সাথে ভালো ব্যবহার কটতে বলেছেম।
৪. অপ্রয়োজনীয় ব্যাপারগুলো বাদ দিন: দুমপান করা,নেশা করা, জুয়া খেলা এসব অপ্রয়োজনীয় জিনিষ বা অভ্যাস গুলো ত্যাগ করতে হবে। আপনার বর্তমান জীবনে এমন অনেক অপ্রয়োজনীয় ব্যাপার আছে, যা আপনাকে সামনে এগোতে বাধা দিচ্ছে। হতে পারে সেটা কোন মানুষ, চিন্তা, অভ্যাস কিংবা ঘটনা। আপনার আদর্শ জীবনে কী থাকবে আর থাকবে না তার সিদ্ধান্ত আপনি নেবেন। অন্য কেউ না।
৫.নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন: আপনি যে কাজগুলো করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না, সেগুলো করার চেষ্টা করবেন মাঝে মাঝে। অপরিচিত লোকের সাথে কথা বলা, নতুন কোনো খেলা, নাচানাচি এরকম অনেক কিছু। এতে আপনার ওই বিষয়গুলো সম্পর্কে নতুন নতুন ধারণা হবে।
৬. দান করুন ও কৃতজ্ঞ থাকুন: দান করলে মন পবিত্র হয়। দান বলতে শুধু টাকা-পয়সা, জামা-কাপড় এমন কিন্তু নয়। আপনার জ্ঞান দান করতে পারেন মানুষকে। আবার আমাদের কাছে এমন অনেক বস্তু থাকে, যা আমরা ব্যবহার করি না। সেগুলো দান করে দিতে পারি। দানের পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে কার্পণ্য করবেন না। সাহায্যকারীকে মন খুলে ধন্যবাদ দিন। আপনার জীবনে যা আছে, তা হয়তো অন্য অনেকের কাছে নেই। সে জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন।
৭. প্যাশনকে কাজে পরিণত করুন: আমরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ ও কষ্টে থাকি কর্মপরিবেশ ও কাজ নিয়ে। কারণ যা করছেন, সেটা আপনার প্যাশন নয়। আপনার প্যাশন আপনার কাজ হলে তা ভালোবাসা ও নিষ্ঠা দিয়ে করবেন। কাজ নিয়ে হতাশায় ভুগবেন না। লেখালেখি যদি আপনার প্যাশন হয়, তাহলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু লিখে ফেলুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে প্রচারণার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করুন। যদি ঘুরতে ভালোবাসেন, তাহলে কাজের ফাঁকে ঘুরে আসুন। কিংবা বড় কোন ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি নিয়ে ঘুরতে পারেন দেশ-বিদেশ।
৮. কাজের সময় নির্ধারণ করে রাখুন: আপনি দৈনন্দিন জীবনের জন্য একটি রুটিন তৈরি করুন, সকালে ঘুম থেকে কখন উঠবেন, সকালে কতক্ষন হাটবেন,সকালে নাস্তা কি করবেন ইত্যাদি জীবন সফলতা পেতে অবশ্যই কাজের সময় নির্ধারণ করে রাখতে হবে। যদিও আমাদের দেশে কাজের সময় বলতে গেলে নির্ধারিত। তবুও দেখতে হবে আপনি সপ্তাহে কতটুকু কাজ করতে পারেন।
৯. ভ্রমণ করুন: আপনার কর্মবেস্ত জীবনের ফাকে ভ্রমন করুণ,নিজেকে সময় দিন তাহলে নিজের কর্মক্ষেত্রে প্রসারিত হবে সস্তিবোধ হবে মোবাইল ফোনকে যেমন রিফ্রেস করে চাঙ্গা করা যায়, তেমনই একটু ভ্রমণ আপনার জীবনকে চাঙ্গা করে তোলে। বছরে অন্তত একটি ভ্রমণ অবশ্যই করবেন। এতে জীবনের একঘেয়েমি কেটে যাবে। আপনার জীবন যাতে এক জায়গায় থেমে না যায়, সে জন্যই ভ্রমণ করবেন।
১০. নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন সব সময়: কর্মক্ষেত্রে বা নিত্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্রতিটি দিন একটি নতুন দিন। নতুন কিছু শেখার জন্য আপনাকে সবসময় আগে থেকেই প্রস্তুুত রাখবেন। কোন নতুন বিষয়বস্তুু নিয়ে সবসময় ঘাটাঘাটি করতে হবে। আপনি জানেন না এমন অনেক কিছুই আছে। নতুন কিছু জানার ও শেখার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকবেন।
একটি সফল জীবন গড়ে তুলতে হয়তো আপনার দৃঢ় চেষ্টা লাগবে। কিন্তু তা অসম্ভব নয়, বাস্তবে যে কেউ তার জীবনকে সফল ভাবে গড়ে তুলতে পারেন। শুধু লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকতে হবে।

সৌজন্যে Zonaki Media Group একটি বিশ্বস্ত ব্লক সাইট, আপনাদের পাশে আছে সহমর্মীতায় এবং সহযোগিতায় সবসময়।

- মূললেখাটি অনলাইন থেকে নেওয়া

Post a Comment

0 Comments