বাজারে নতুন কোনো পণ্য বা সেবা এসেছে তার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? কিংবা
কোনো পাবলিক স্পিকিং অথবা লেকচারে যেতে চান, নাকি ইউনিভার্সিটিতে দেওয়া
এসাইনমেন্টের তথ্যটি খুঁজে বের করতে চান? বর্তমানে ইন্টারনেট আর
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এই কাজটি যে কত সহজ তা বলাই বাহুল্য। যেকোনো বিষয়ে
জানার জন্য গুগলে সার্চ দিলে হাজারো অনলাইন কন্টেন্ট চলে আসে। চলে আসতে
পারে সেই বিষয়ের উপরে লেখা দুই চারটি বইও। পণ্য বা সেবার নাম সার্চ দেওয়ার
সাথে সাথে মূল পণ্যটি যেমন দেখতে পাওয়া যায় তেমনি আসে অনেক বিজ্ঞাপনও।
ইন্টারনেটে তথ্যের পরিমাণ যত বাড়ছে সাথে সাথে সার্চ ইঞ্জিনে সাধারণ মানুষের
প্রত্যাশিত বিষয়ের সঠিক ফলাফল খুঁজে পাওয়া ততই কঠিন হচ্ছে। তাই
ইন্টারনেটের বিশাল জগতে আপনার দরকারি সেবা, পণ্য কিংবা কন্টেন্টটি হয়তো আছে
কিন্তু ঠিকঠাক খুঁজে বের করতে না পারলে বিড়ম্বনারও যেন শেষ নেই।তথ্যের পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে তথ্য খোঁজায় বাড়ছে ভোগান্তি; source:www.greengeeks.com
তাই অনলাইন জগতে আপনার প্রত্যাশিত সেবাটি পেতে হলে একদিকে যেমন কৌশলী
হতে হবে অন্যদিকে জানতে হবে কিছু কীভাবে স্বল্প সময়ে খুঁজে পাওয়া যায়
প্রত্যাশিত তথ্যটি। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে আপনি অনেক অনেক অনলাইন
কন্টেন্ট পড়েও যদি আপনার তথ্যটি খুঁজে বের করতে না পারেন তবে আমের সাথে
সাথে ছালাও যাবে। তাই আপনার প্রত্যাশিত পণ্য, সেবা কিংবা তথ্যটি অল্পসময়ের
মধ্যে খুঁজে বের করতে কার্যকরী একটি পদ্ধতি হলো ‘প্রোডাক্টিভ অনলাইন
কন্টেন্ট রিডিং’। সেই প্রক্রিয়ার আদ্যোপান্তই থাকছে আজকের লেখায়।
প্রথমে কিওয়ার্ড বাছাই করুন
যেই বিষয়টির সম্পর্কে আপনি তথ্য পেতে আগ্রহী সেই বিষয়ের কিছু কিওয়ার্ড
বাছাই করুন। তারপর সেই কিওয়ার্ড ধরে সার্চ ইঞ্জিনে তথ্য খুঁজে বের করা অনেক
সহজ। কিন্তু ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’ বা ইন্টারনেটজুড়ে তথ্যের পরিমাণ যত
বাড়ছে সার্চ ইঞ্জিনে তথ্য খুঁজে বের করা ততই কঠিন হচ্ছ। বেশিরভাগ মানুষ
মূলত যে বিষয়টি খুঁজে পেতে চান সেই বিষয়ের একটি বাক্য তৈরি করে তা সার্চ
ইঞ্জিনে দিয়ে দেন। আর তার ফলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার বাক্যে থাকা শব্দগুলোকে
তার ইন্ডেক্স করা ভাণ্ডার থেকে খুঁজে বের করে আপনার সামনে উপস্থাপন করে।
তাই আপনার সার্চকৃত বাক্যে যদি অনেক শব্দ থাকে তবে সেই বাক্যে থাকা আপাত
অপ্রয়োজনীয় শব্দগুলোকে সার্চ ইঞ্জিন কিওয়ার্ড হিসেবে ধরে নিয়ে তারও ফলাফল
আপনার সামনে উপস্থাপন করে। ফলে অনেক সময়ই আমাদের প্রত্যাশিত সার্চ রেজাল্ট
থেকে অনেক দূরে সরে যাই আমরা। তাই ইন্টারনেটে দ্রুত তথ্য খুঁজে পাবার প্রথম
এবং প্রধান শর্ত কার্যকরী কিওয়ার্ড বাছাই করা। তবে একটি বিশয়ে সার্চ করার
জন্য যে আপনাকে একটি মাত্র কিওয়ার্ড নিয়েই ঝাপিয়ে পড়তে হবে ব্যাপারটি মোটেও
তেমন নয়। বিষয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ অনেকগুলো কিওয়ার্ড নিয়ে শুরু করতে পারেন।
তবে এইক্ষেত্রে অনেকগুলো কিওয়ার্ড বাছাই করার ফলে কিওয়ার্ডগুলো ভুলে যান
অনেকেই। সেক্ষেত্রে সাহায্য নিতে পারেন খাতা কলম কিংবা স্টিকি নোটের হোক
সেটা কম্পিউটার কিংবা বাস্তবে। সঠিক কিওয়ার্ড বাছাই করুন; source:www.greengeeks.com
সার্চ করুন তথ্যটি আপনার প্রত্যাশিত সাইটে আছে কিনা?
আপনার দরকারি তথ্যটি একটি প্রত্যাশিত একটি ওয়েবসাইটে আছে কিনা জানার
জন্য সাধারণত আমরা কিওয়ার্ডের সাথে সাইটের নামটি জুড়ে দেই। তবে সেক্ষেত্রে
অনেকাংশেই আশানরূপ ফলাফলটি পাওয়া যায় না। যেমন ধরুন আপনি ট্রাম্পের
ব্যাপারে জানতে আগ্রহী, এবং আপনার মনে হয় নিউইয়র্ক টাইমস আপনাকে তার
ব্যাপারে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ দিতে পারবে সেক্ষেত্রে আপনি গুগলে
সার্চ করতে পারেন ‘Trump site:www.nytimes.com’ দিয়ে। তাহলেই সার্চ ফলাফলে
আপনার প্রত্যাশিত সাইটে আপনার প্রত্যাশিত কন্টেন্টটি আছে কিনা পেয়ে যাবেন। তথ্য খুঁজে বের করুন আপনার প্রত্যাশিত সাইট থেকে; source:http://mediasmarts.ca
অজান্তেই ক্লিক করছেন বিজ্ঞাপনে?
খেয়াল করে ক্লিক করুউন সার্চ রেসাল্টে; source:http://www.boulderseomarketing.com
সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল থেকে আসা সর্বপ্রথম লিংকটিই আপনাকে আপনার তথ্যের
সোনার হরিণ পাইয়ে দেবে এমনটি আশা করা বোকামি। পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে
বেশিরভাগ সময়েই সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম রেজাল্টগুলো হয়ে থাকে বিজ্ঞাপন। অবশ্য
সার্চ ইঞ্জিনগুলোর আয়ের একটা অংশ এই বিজ্ঞাপন থেকেই আসে।
তবে একটু ধীরে সুস্থে ফলাফলগুলোর দিকে খেয়াল করলে যদি দেখা যায় সার্চ
রেসাল্টের পাশে হলুদ কালিতে লেখা আছে ‘ad’ তবে সেই লিংকগুলোতে ক্লিক করে
বেশিরভাগ সময়ই আপনি হয়তো আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্যটি নাও পেতে পারেন। তাই সল্প
সময়ে সঠিক তথ্যটি পেতে চাইলে সার্চ ইঞ্জিনগুলোর রেসজাল্টকে লক্ষ্য করুন
একটু সতর্কতার সাথে।
আর্টিকেলে আপনার প্রত্যাশিত শব্দগুলো কি আছে?
আর্টিকেলে প্রত্যাশিত শব্দগুলো খুঁজে পেতে; source:bp.blogspot.com
সার্চ ইঞ্জিন থেকে ঠিকঠাক রেজাল্ট পেলেন। কিন্তু ধৈর্য্য ধরে পুরো
আর্টিকেলের ঠিক কোথায় আপনার প্রত্যাশিত শব্দগুলো আছে তা না খুঁজে বের করতে
পারলে বিড়ম্বনার শেষ নেই। যেমন ধরুন আপনি একটি ল্যাপটপের রিভিউ পড়ছেন।
কিন্তু আপনি হয়তো পুরো রিভিউটি পড়তে চাইছেন না, শুধু জানতে চাইছেন
ল্যাপটপের র্যাম কত জিবি। এরকম পরিস্থিতিতে কিংবা সময় সল্পতার কারণে পুরো
আর্টিকেল না পড়েও যদি কিওয়ার্ডগুলো খুঁজে বের করতে চান ব্রাউজারের ‘ফাইন্ড’
অপশনটি ব্যবহার করুন। মূলত সব ব্রাউজারের অপশনেই এটি খুঁজে পাওয়া যাবে।
কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা কিবোর্ড শর্টকাট Ctrl+f কিংবা শুধু F3 চাপলেই
ব্রাউজারের কোনায় একটি বাক্স চলে আসবে।
সেখানে আপনার কিওয়ার্ড পেস্ট করে দিলে দেখতে পাবেন পুরো আর্টিকেলে কোথায়
মোট কতবার শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় সব ব্রাউজারেই এই সুবিধাটি একই
রকম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই বক্সে দেওয়া শব্দগুলোকে ক্রমানুসারে খুঁজে বের
করে ফেলবে আপনার ব্রাউজার। গুগল ক্রোম ব্রাউজারের ক্ষেত্রে ফলাফল অনেকটা এইরকম; source:http://www.boulderseomarketing.com
অতি সম্প্রতি সুবিধাটি যুক্ত হয়েছে এন্ড্রয়েডের জন্য নির্মিত বেশকিছু
ব্রাইজার এপ্লিকেশনেও। কিন্তু লেখাটি যদি পিডিএফ কিংবা ডক্স ফাইল ফরম্যাটে
হয়ে থাকে তবেও দুশ্চিন্তা করার কিছুই নেই। সর্বত্রই এই Ctrl+f কিংবা শুধু
F3 চেপে খুঁজে বের করা যাবে কোথায় আছে আপনার কাংখিত কিওয়ার্ডটি।
শতাব্দীর এই বিশ্বায়নের যুগে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বত্র বিদ্যমান। যার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থান। বাংলাদেশে একটু দেরিতে হলেও এর ব্যবহার ব্যাপক ভাবে বিস্তৃতি লাভ করছে। একথা অনস্বীকার্য যে প্রযুক্তি ছাড়া গোটা পৃথিবীই আজ অচল। গবেষণা থেকে শুরু করে, ব্যবসা, শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসাসহ ঘরে-বাইরে, মহাকাশে, মহাসমুদ্রে সকল ক্ষেত্রেই আজ প্রযুক্তির ছোঁয়া। আর গতিশীল জীবন মানেই সেখানে থাকছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। তথ্য-প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আমরা বিশ্বকে হাতের মুঠোয় পেয়ে গেছি। আমরা অনেকেই বিশ্বগ্রাম কথাটির সঙ্গে পরিচিত। একটি গ্রামে যেমন সবাই একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, তেমনি তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্বের সব মানুষকে সংযুক্ত করে রেখেছে। তারা প্রতিনিয়ত একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের সার্বিক জীবনব্যবস্থায় নানামুখী প্রভাব ফেলছে। এর ইতিচাক ও নেতিবাচক দুই ধরনের প্রভাবই রয়েছে।
ডিজিটাল দুনিয়ায় আপনার বিজনেসকে এগিয়ে নিতে ওয়েবসাইটের কোন বিকল্প নেই। একটি ওয়েবসাইট আপনার বিজনেস কে ব্রান্ডমডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং এটি একটি অন্যতম আস্থার জায়গা তৈরি করে আপনার কাস্টমারদের মধ্যে।
মানবকল্যাণে প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ গড়ার লক্ষ্যে বাংলায় তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে শেখার ও জানার জন্য " এম এস হাবিবুর রহমান " প্রযুক্তি বিষয়ক বইসহ বহু বই ও আর্টিক্যাল লিখেছেন ও আরো লেখা অব্যাহত রেখেছেন। যা বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ওয়েবসাইট, নিউজ পোর্টাল ও ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়া প্রিন্ট ও পিডিএফ আকারে বইসমূহ প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন প্রকাশনা ও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বইসমূহ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে অথবা বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ওয়েবসাইট, নিউজ পোর্টাল বা ব্লগে প্রকাশিত আর্টিক্যাল একই ওয়েবসাইটে পড়তে ভিজিট করুনঃ www.mindger.com
0 Comments